সেনা সদরের সংবাদ সম্মেলন

ট্রাইব্যুনালের ওয়ারেন্টভুক্ত ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ন, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৫ অপরাহ্ন, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের বনানীর অফিসার্স মেসে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, একজন এখনও পলাতক। সেনাবাহিনী দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

সেনা সদর থেকে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে যাতে কেউ বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে। মেজর জেনারেল (এ্যাডজুটেন্ট) মো. হাকিমুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। টিভির স্ক্রল দেখে আমরা ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছি।”

আরও পড়ুন: সিও ক্লোজড, বাবুর্চি সুইপারসহ কক্সবাজার র‌্যাবে গণবদলি

তিনি আরও বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের প্রতি সেনাবাহিনীর সহানুভূতি রয়েছে। হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় কখন সোপর্দ করা হবে, তা পরবর্তী সময় নির্ধারিত হবে।

সেনাবাহিনী জানায়, ডিজিএফআই সেনাবাহিনীর অধীনে নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত। গত বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

দুই মামলায় মূল আসামি হিসেবে আছে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, এবং সঙ্গে রয়েছেন তার নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।

র‌্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে আটকা রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৭ জন এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি)  আটক রেখে নির্যাতনের মামলায় ১৩ জন অন্তর্ভুক্ত।