জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৭:৩৮ অপরাহ্ন, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ আট মাসের সংলাপ ও মতৈক্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত হওয়া ঐতিহাসিক ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ২৫টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই সনদে স্বাক্ষর করেন।

আরও পড়ুন: তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হঠাৎ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তোলপাড়

অনুষ্ঠানটি বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, জামায়াতে ইসলামী থেকে নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে রাত ৯টা থেকে ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু

শিক্ষা উপদেষ্টা সি. আর. আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যবসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

তবে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদের আইনি ভিত্তি না থাকার কারণে স্বাক্ষর করবেন না বলে ঘোষণা করেছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠিত ৬টি সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে। প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়।

গঠিত খসড়া সনদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয় এবং ত্রুটি সংশোধনের পর নির্ভুল খসড়া প্রেরণ করা হয়। ২০ আগস্ট খসড়া প্রদান ও ২২ আগস্ট পর্যন্ত মতামত দেওয়ার সময়সীমা শেষে আরও আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করা হয়।