দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:২০ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:২০ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশীয় গরুর জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দেশীয় গরুর জাতগুলো দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নিজস্ব পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে আছে। ফলে এই দেশীয় জাতগুলোর অনন্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের টেকসই প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ।

বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল সারিনায় আয়োজিত “Scaling-up Livestock Climate Actions to Enhance Nationally Determined Contributions – Phase II” শীর্ষক জাতীয় স্টেকহোল্ডারদের ভ্যালিডেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: এনটিএমসি বিলুপ্ত, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধনী পাশ

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, স্থানীয় জলবায়ু সহনশীল দেশীয় জাতের গবাদিপশু সংরক্ষণে জোর দিতে হবে। কেবল সংকর জাতের ওপর নির্ভর করলে ভবিষ্যতে ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। তাই কপ–৩১ সম্মেলনে বাংলাদেশের গবেষক, বিজ্ঞানী, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈশ্বিক আলোচনায় নিয়মিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী। জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হয়েও বাংলাদেশকে অনেক সময় অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হয়, কারণ দেশের জন্য সেক্টরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট তথ্য, পরিমাপ, প্রতিবেদন ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা এখনো পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

কর্মশালায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি (Jiaoqun Shi) এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন FAO-এর প্রাণিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ মি. জ্যাঁ দে দ্যু আয়াবাগাবো (Mr. Jean De Dieu Ayabagabo)।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন FAO-এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. খান শহিদুল হক। “দুগ্ধ ও গরুর মাংস উৎপাদন ব্যবস্থায় গ্রিনহাউজ গ্যাস (GHG) নির্গমন হ্রাসে LDDP প্রকল্পের অর্জন এবং পরবর্তী পথ নির্দেশনা” বিষয়ে উপস্থাপনা করেন প্রকল্পের উপ-পরিচালক ড. শাকিফ-উল-আজম।

অনুষ্ঠানে সরকার ও বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।