ইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ, বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:৩৫ অপরাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসনের প্রস্তাবকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে আদালত এই আদেশ দেন।

আরও পড়ুন: সারাদেশে পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা ও সেনা সদস্যরা সতর্ক অবস্থায়

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।

এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন, কেন বাগেরহাটের চারটি আসন বহাল রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হবে না এবং কেন চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার ইসির গেজেট অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে।

আরও পড়ুন: রাজধানীর সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার

রিটটি দায়ের করেছিলেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ট্রাক মালিক সমিতি। রিটে বিবাদী করা হয় বাংলাদেশ সরকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৩০ জুলাই ইসি বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে কমিশন।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী— বাগেরহাট-১: সদর, চিতলমারী ও মোল্লাহাট, বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল ও মোংলা, বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা। আসন কমানোর সিদ্ধান্তের পর স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল।

তবে ১৯৬৯ সাল থেকে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী বাগেরহাট-১ ছিল চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট; বাগেরহাট-২ ছিল বাগেরহাট সদর-কচুয়া; বাগেরহাট-৩ ছিল রামপাল-মোংলা এবং বাগেরহাট-৪ ছিল মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা।