লকডাউনের নামে আওয়ামী লীগের নতুন নাশকতার অভিযোগ জামায়াতের

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২৪ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেছেন, দিল্লির মদদে আগামী ১৩ নভেম্বর লকডাউনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন নাশকতার পরিকল্পনা করছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক পল্টন মোড়ে সমমনা আটটি রাজনৈতিক দলের আয়োজিত এক মহাসমাবেশে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব মামলা তুলে নেবো: ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর পল্টনের এই ঐতিহাসিক সমাবেশ আগামী দিনের রাজনীতির জন্য একটি নতুন মাইলফলক। জাতি এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে।”

তিনি জানান, সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রায় নয় মাস ধরে সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিচার বিভাগীয় সংস্কার নিয়ে কাজ করেছে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু ২৬ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকেই নানা মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশের সব বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি

গোলাম পরওয়ার প্রশ্ন রাখেন, “যারা বলছেন একদিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন হবে, তারা কোন আইনি ভিত্তিতে এমন দাবি করছেন? বাংলাদেশের সব সংবিধান বিশেষজ্ঞ একমত—জুলাই জাতীয় সনদে ৪৮টি বিষয়ে সংস্কার হয়েছে। যদি গণভোট আইনি ভিত্তি না পায়, তাহলে নির্বাচনের বৈধতা আসবে কিভাবে?”

তিনি আরও বলেন, “হাইকোর্টের আর্টিকেল ১০৬ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের আইনি ভিত্তি দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।”

জামায়াতের এই নেতা বলেন, “আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের দাবি করেছিলাম, এখন ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে—এটা ইতিবাচক। কিন্তু এই নভেম্বরে কিছু অপরাধীর রায় ঘোষণার সম্ভাবনা থাকায় ফ্যাসিস্ট শক্তি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশে নাশকতার ষড়যন্ত্র করছে।”

সরকার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি, ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। অবিলম্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করুন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি তৈরি করুন। এরপর ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করুন।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীরসাহেব চরমোনাই)। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।