গভীর রাতে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার ঘটনায় বিতর্ক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৮:১৮ অপরাহ্ন, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীতে মঙ্গলবার গভীর রাতে সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল ও মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ী সংগঠন বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি) সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

বিবিসি বাংলাকে মি. সোহেল জানিয়েছেন, রাত ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়, মোবাইল জব্দ করা হয় এবং জুতা-বেল্ট খুলে রাখা হয়। প্রায় ১০ ঘণ্টা হেফাজতে থাকার পর সকালে তাকে আবার বাসায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সোহেল বলেন, কেন বা কোন অভিযোগে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তাকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

আরও পড়ুন: আমিরাতে বন্দি বাকি ২৪ বাংলাদেশি অচিরেই মুক্তি পাচ্ছেন

ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি তথ্যগত ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছে। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মি. পিয়াসকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, সংবাদ সম্মেলনের বিজ্ঞপ্তিতে মি. সোহেলের প্রতিষ্ঠানের নাম ও ফোন নম্বর থাকায় তাকে আনা হয়েছিল।

ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে জড়িয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা শুরু হয়। তবে মি. তৈয়্যব দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সাংবাদিককে হেফাজতে নেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন: মজলুম থেকে জালিম হইয়েন না: আসিফ মাহমুদের আহ্বান

এই ঘটনার প্রতিবাদে এমবিসিবি সারাদেশে মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের গভীরে কাউকে হেফাজতে নেওয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নয় এবং এটি অতীতের বিতর্কিত ঘটনা পুনরাবৃত্তির শঙ্কা সৃষ্টি করছে।

ঘটনাটি দেশের মোবাইল ফোন খাতে এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার) কার্যক্রম ও ব্যবসায়িক অসঙ্গতি নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে।