গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৪ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। পাশাপাশি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করা গণমাধ্যমের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। কর্মশালাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল।

আরও পড়ুন: ‘গোয়েন্দা টিম গঠন করেন, লোক সাপ্লাই দেব’ ওসিকে জামায়াতের প্রার্থীর মন্তব্যে বিতর্ক

গুজবের প্রসঙ্গে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ও অপতথ্য ছড়ানোর প্রবণতা অতীত সরকার আমলে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ভূমিকম্প সম্পর্কিত সংবাদ পরিবেশনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম জনসচেতনতা তৈরির পরিবর্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে, যা দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের ওপর জনআস্থা না থাকলে যে কেউ যেকোনো তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করবে এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে। তাই গণমাধ্যমের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে হবে।” পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের এমডি-চেয়ারম্যানসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যক্রম তুলে ধরে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি একটি কোয়াসি জুডিশিয়াল সংস্থা হলেও পূর্ববর্তী সরকার এটিকে অকার্যকর করে রেখেছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, “সাংবাদিকরা প্রয়োজনে তাদের অধিকারের জায়গা থেকে প্রেস কাউন্সিলের দ্বারস্থ হতে পারবেন।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ. কে. এম. আব্দুল হাকিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। আরও বক্তব্য দেন দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৫০ জন সাংবাদিক অংশ নেন এবং শেষে অংশগ্রহণকারীদের সম্মাননা সনদ প্রদান করা হয়।