এরশাদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ জুলাই)। ২০১৯ সালের এই দিনে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় পার্টি ও দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, অসহায়-দুস্থদের মাঝে খাদ্যসহায়তা প্রদান ও উন্নত খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
দলের শীর্ষ ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির।
কর্মসূচিগুলো হলো- শুক্রবার সকাল ৬টায় জাতীয় পার্টির সেন্ট্রাল রোডের জেলা কার্যালয়সহ স্ব-স্ব উপজেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাচ ধারণ, কোরআন খতম, নগরীর গুরুত্ব স্থানসমূহে মাইকযোগে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদের জীবনী ও ভাষণ প্রচার করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
বেলা ১১টায় নগরীর দর্শনা মোড় পল্লী নিবাসে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, দোয়া মোনাজাত এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জুম্মা স্ব-স্ব মসজিদসমূহে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হবে। এতে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর মহানগর ও জেলার সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এছাড়াও জেলার প্রতিটি পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে পরিবারের সঙ্গে রংপুরে চলে আসেন। ৯০ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।





