পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা, জনগণ চায় ব্যালটে ভোট দিয়ে সরকার গঠন: আমিনুল হক

Sadek Ali
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ন, ০৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:১০ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

‘ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাই পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) তেজগাঁও ও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন  আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচনে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু সেই নির্বাচন বানচাল করতেই নতুন ফর্মুলা হিসেবে পিআর পদ্ধতি সামনে আনা হয়েছে, যা জনগণের সাথে একটি প্রতারণা।”

আরও পড়ুন: উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করল বিএনপি

তিনি বলেন, “কিছু নতুন রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতির কথা বলছে, এটা হাস্যকর। কারণ এই পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় না। আমরা চাই উৎসবমুখর পরিবেশে জনগণের সরব অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।”

আমিনুল হক আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। কারণ মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে চায়। সেই ব্যালটই হবে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের একমাত্র মাধ্যম।”

আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ মানুষও ভালো কিছু প্রত্যাশা করে: তারেক রহমান

তিনি উল্লেখ করেন, “৫ আগস্টের পর থেকে আমরা অন্তবর্তী সরকারের প্রতি বারবার আহ্বান জানিয়েছি গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন মানুষ ভোট দিতে চায়। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করুন যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে।”

অন্তবর্তী সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে আমিনুল হক বলেন, “এক বছর পার হতে চললো, অথচ কোনো সংস্কার হয়নি, স্বৈরাচারের দোসরদের বিচার হয়নি। রাষ্ট্রীয় কোনো কাঠামোগত পরিবর্তনও দেখা যায়নি।”

তিনি বলেন, “গত ১৭ বছর ধরে বিএনপির নেতাকর্মীরা জুলুম-নিপীড়নের শিকার হয়েও রাজপথে আন্দোলন করে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করেছে। তাই এই ত্যাগী, পরীক্ষিত, নিবেদিত কর্মীরাই সবার আগে দলের সদস্য পদ নবায়ন করতে পারবে।”

সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজু করে, কিংবা ব্যবসা করে সেই সুবিধাবাদীরা দলের সদস্য পদ নবায়ন করতে পারবে না। তবে যারা সমাজের ভালো মানুষ এবং বিএনপিকে ভালোবাসে, তাদের আমরা দলে সদস্য নবায়নের সুযোগ দেবো।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমিনুল হক বলেন, “আপনাদের হাত ধরে যেন ভুলেও আওয়ামী লীগের দোসররা বিএনপির সদস্য না হতে পারে এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির আহবায়ক আইনুল ইসলাম চঞ্চল ও তেজগাঁও থানা বিএনপি আহবায়ক ইন্জিঃ মোঃ মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহবায়ক সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত), গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, মহানগর সদস্য এল রহমান, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, নূরুল হুদা ভূইয়া নূরু, হাজী নাসির উদ্দিন, মনিরুল আলম রাহিমী, শামীম পারভেজ, হুমায়ুন কবির রওশন, ইব্রাহিম খলিল, এমএস আহমাদ আলী, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সি: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর উত্তর সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক সুমন, তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের সদস্য মিলন খান, তেজগাঁও থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হাফিজুর রহমান কবির, শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবকদল শিল্পাঞ্চল থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মকবুল হোসেন প্রমুখ।