জামায়াত ধর্মকে হাতিয়ার করে ঘৃণা-সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে: এনসিপি

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ন, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৫১ পূর্বাহ্ন, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে। দলটি আরও বলেছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গ্রহণ না করে জামায়াত পুরনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে নতুন খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ অপরিহার্য। এনসিপি জামায়াতকে সত্য, শান্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: সেনাকুঞ্জে যাওয়ার আগেই অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া: তারেক রহমান

এর আগে শনিবার রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনের এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। এর মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের মতো দলগুলো অস্ত্রের মহড়ায় কে কার থেকে এগিয়ে যাবে, সেই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে।

এ বক্তব্যকে ‘অসত্য, মনগড়া ও উদ্দেশ্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে রবিবার জামায়াতের পক্ষ থেকে আখতার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, একজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার মুখে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক, অযৌক্তিক ও সস্তা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।

আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের বিজয় সুসংহত করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

তবে এনসিপি এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, জামায়াতের বক্তব্য বাস্তবতাবিরোধী এবং জনমত বিভ্রান্ত করার স্পষ্ট চেষ্টা। এনসিপি আরও উল্লেখ করেছে, ২৭ নভেম্বর পাবনার ঈশ্বরদী থানায় নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রিক সংঘর্ষে গুলি চালানো ব্যক্তি যে জামায়াতের কর্মী, তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে। অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজন্য স্পষ্ট প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাস্তবতা অস্বীকার করা সত্য গোপন ও দায় এড়ানোর অপচেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।