প্রেমের বাজারে নতুন নজির ‘সুগার ড্যাডি এবং মমি ইস্যুজ’, এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি কোন দেশে?

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ন, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ৮:১৯ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের সমাজে ‘সুগার ড্যাডি’ এবং ‘মমি ইস্যুজ’ সম্পর্কের নতুন ও আধুনিক দৃষ্টিকোণ সৃষ্টি করেছে। একজন সুগার ড্যাডি, অর্থাৎ বয়সে অনেক বড় পুরুষ যিনি তরুণ নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করেন, সেই সম্পর্কের ভিত্তি থাকে সম্পদ, উপহার ও অর্থের বিনিময়ে। অন্যদিকে, মমি ইস্যুজের মধ্যে এক ধরনের মানসিক সম্পর্কের স্বীকৃতি রয়েছে, যেখানে কম বয়সী পুরুষরা তাদের চেয়ে বয়সে বড় নারীদের কাছে আবেগীয় ও পরামর্শমূলক সমর্থন খুঁজে পান।

এ দুটি সম্পর্কই মূলত বয়সের বৈষম্য এবং ক্ষমতার ভারসাম্য দ্বারা প্রভাবিত হয়, যেখানে বয়সের বড় অংশীদারই সম্পর্কের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেন। তবে এ ধরনের সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত থাকে এক বিশেষ ধরনের যৌনতা ও আবেগ, যা অনেকসময় সামাজিক আলোচনা এবং নিন্দা উত্থাপন করে।

আরও পড়ুন: তুষারের ‘নগ্ন ভিডিও’ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি নীলার

সিসিয়া স্ট্যাটস-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের সুগার ড্যাডি সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার, যা গোটা এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ, প্রেমে আবেগের পাশাপাশি, এখানে ‘সুগার ড্যাডি’র সংখ্যা সবার শীর্ষে, যারা প্রেমের সঙ্গে বিলাসী জীবনযাপন ও দামি উপহারের ব্যবস্থা করে থাকেন।

প্রেমের বাজারে অনেক সময়ই লেনদেনের একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে। যখন প্রেমিকেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন, আকাশছোঁয়া উপহার এবং আরামদায়ক রোম্যান্সে নিজেদের ভূমিকা রাখেন, তখনই তাঁরা ‘সুগার ড্যাডি’ হিসেবে পরিচিত হন। ভারত, যেখানে সুগার ড্যাডি’দের সংখ্যা আকাশচুম্বী, সেখানে সম্পর্কের এই এক নতুন রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন: নীলার ফেসবুক পোস্ট সামনে আসার পরই চটেছেন তুষার, দিলেন কড়া জবাব

ইতিহাস থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ কোনো নতুন ধারণা নয়! যুগ যুগ ধরে পৃথিবীজুড়ে সম্পর্কের মধ্যে এই লেনদেনের ইতিহাস রয়েছে। ১৬ শতকে গণিকারা ধনী পৃষ্ঠপোষকদের ‘ড্যাডি’ বলতেন, আর ১৯ শতকে অর্থ আর বিলাসিতাকে ‘সুগার’ বলা হত। সেই দুই শব্দের মিলিত সংযোগ থেকেই এসেছে ‘সুগার ড্যাডি’ শব্দটি। ১৯২০-এর দশকে এই শব্দটি জনপ্রিয়তা পায় এবং ১৯৭৫ সালে ব্রিটিশ রক ব্যান্ড ফ্লিটউড ম্যাকের গান “Sugar Daddy”-তে এর ব্র্যান্ডিং হয়ে যায়।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি বেশ স্পষ্ট। ভারত প্রেমের বাজারে এক নতুন দিগন্ত তৈরি করেছে! ভারতের শীর্ষে থাকা ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার সুগার ড্যাডির তুলনায়, দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় মাত্র ৬০ হাজার, আর তৃতীয় স্থানে থাকা মালয়েশিয়া ও জাপানে রয়েছে ৩২ হাজারের কিছু বেশি সুগার ড্যাডি।

অন্য দেশগুলোর অবস্থান:

  • চতুর্থ স্থানে হংকং ২৮,০০০
  • পঞ্চম স্থানে তাইওয়ান ২৭,০০০
  • ষষ্ঠ স্থানে ভিয়েতনাম ১২,০০০
  • সপ্তম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া ৮,০০০
  • অষ্টম স্থানে শ্রীলঙ্কা ৫,০০০
  • নবম স্থানে কম্বোডিয়া ৩,৫০০

এছাড়া, সুগার ড্যাডি এবং মমি সম্পর্কের মধ্যে ব্যবহৃত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বা জনপ্রিয়তা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। বিশেষ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে "সুগার ড্যাডি" এবং "সুগার বেবি" সম্পর্কের জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।