অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধে নতুন যুগের সূচনা
দেশে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবহার রোধ ও টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে নিবন্ধনবিহীন ও আনঅফিসিয়াল মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিটিআরসি বোর্ডরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ উইকিপিডিয়ার বিকল্প ডিজিটাল বিশ্বকোষ চালু
তিনি বলেন, এনইআইআর চালুর মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি এমন একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থা, যা প্রতিটি মোবাইল হ্যান্ডসেটের আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আইএমইআই নম্বরকে ব্যবহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ব্যবহৃত সিমের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিবন্ধন করবে। ফলে বৈধ ও অবৈধ হ্যান্ডসেট সহজেই শনাক্ত করা যাবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও বলেন, এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে অবৈধভাবে আমদানিকৃত বা নকল মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে। এতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে, দেশীয় মোবাইল উৎপাদন শিল্প সুরক্ষিত হবে এবং চুরি বা অপরাধে ব্যবহৃত ডিভাইস শনাক্ত করা সহজ হবে।
আরও পড়ুন: আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার আছে কি না বুঝবেন কীভাবে
তিনি আরও জানান, এনইআইআর শুধু প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, এটি নাগরিক নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার জাতীয় অঙ্গীকার। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে দেশের চারটি মোবাইল অপারেটর— গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক— নিজেদের ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (ইআইআর) সিস্টেম উন্নয়নে কাজ করছে।
এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) জালিয়াতি, সিম প্রতারণা ও স্ক্যাম কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ইকেওয়াইসি যাচাই আরও শক্তিশালী হবে, টেলিকম সেক্টরে নিরাপত্তা বাড়বে এবং রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের টেলিকম খাত একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর নতুন যুগে প্রবেশ করবে। সবাইকে বৈধ হ্যান্ডসেট ব্যবহারে উৎসাহিত করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারীসহ বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।





