রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২

Shakil
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২২ | আপডেট: ১০:০২ পূর্বাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২২

কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা মাঝি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) গভীররাতে তাদের গুলি ককরে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ক্যাম্পের হেড মাঝি অপরজন ব্লক মাঝি।

উখিয়া ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন বুধবার সকালে জানান, মঙ্গলবার রাতে উখিয়া জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের  সি-৯ ব্লকের সমতল হতে ১৫০ ফিট মতো ওপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জনৈক আছিয়া বেগমের শেড নম্বর-১০-১০ এর সামনে সি ব্লকের হেড মাঝি আবু তালেব এবং সি৯ সাব ব্লকের মাঝি সৈয়দ হোসেনকে লক্ষ্য করে একদল রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারী গুলি ছুড়ে। এতে তারা দুজনই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জামতলী ক্যাম্পে এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

আরও পড়ুন: নতুন বছরের প্রথম দিন পর্দা উঠছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা

হাসপাতালে নেওয়ার পরই সৈয়দ হোসেনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং আবু তালেবের অবস্থা আশঙ্কাজনক  হওয়ায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কুতুপালং হাসপাতালে পাঠানো হয়।  

কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: মুক্ত গণমাধ্যম যেন দায়িত্বহীন না হয়: এম আব্দুল্লাহ

নিহত হেড মাঝি আবু তালেব ১৫ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের আব্দুর রহিমের ছেলে এবং অপর নিহত সৈয়দ হোসন একই ক্যাম্পের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের ছেলে। 

স্হানীয় সূত্র জানিয়েছে রাতের বেলায় ক্যাম্পে পাহারা তদারকি করে তাদের শেডে ফিরে আসার সময় ১০-১২ জন দুষ্কৃতকারী তাদের গতিরোধ করে এবং গুলি ছুড়ে।  

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে  পূর্বশত্রুতার জের ধরে রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা পরিকল্পিতভাবে সৈয়দ হোসেন এবং আবু তালেবকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

 তিনি জানান ক্যাম্পে ব্লক রেইড এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন নিহত দুই রোহিঙ্গা মাঝির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উখিয়া থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।