সড়কের ওপর বাড়ি, পাশকাটিয়ে রাস্তা করছে এলজিইডি!

সড়কের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে ঘর। লাগানো হয়েছে সারি সারি গাছ। কয়েক বছরে সড়কের উন্নয়ন কাজে উল্টো পাশের খালি জায়গা থেকে মাটি নিয়ে একপাশে ভরাট করে সেই জমিরে উপরই রাস্তা নির্মাণ করছে এলজিইডি। জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার কুলিয়া উত্তর পাড়ায় চলছে পাকা রাস্তা নির্মাণের কর্মযজ্ঞ।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পাকা রাস্তা বিষাদে পরিণত হয়েছে ভুক্তভোগি কৃষকের। পৈত্রিক ৫২ শতাংশ জায়গার মধ্যে রাস্তায় চলে গেছে ৭ শতাংশ। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ জানিয়েও সমাধান পাননি জমির মালিক।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত, জনজীবন বিপর্যস্ত, লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গহের আলী সরকারের নিজস্ব সম্পত্তির বরাতে কুলিয়া মৌজার বর্তমান দাগ নং ১৭৫৬ ও ১৭৫৯ এর ৫২ শতাংশ জমি আলহাজ্ব মগর আলী ও আলহাজ্ব মহর আলী দীর্ঘ দিন ভোগ দখল করে আসছে।
সম্প্রতি টনকি মুজিবর মাস্টারের বাড়ি হতে আকবরের মোড় হয়ে কুলিয়া উত্তর পাড়ার কাঁচা মাটির রাস্তা উন্নয়ন ও পাকাকরণে কয়েক ধাপে মাটি ভরাটের সময় উক্ত দুই দাগের জমি থেকে মাটি নিয়ে পাশের রাস্তা ভরাট করা হয়। এ জমির পাশে আকবরের মোড়ে কয়েক ধাপে মাটি ভরাটের ফলে রাস্তাটি সরকারি নকশা বহির্ভূতভাবে উল্লিখিত দাগ নম্বররের জমিতে চলে আসে। এতে সড়কের মূল অংশের ৫ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত ১৭৫৬ ও ১৭৫৯ নম্বর দাগের জমিতে চলে এসেছে। ফলে, দুই দাগে বর্তমান জমির পরিমাণ কমে ৪৬ শতাংশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জিম্মি করে মুক্তিপন আদয়ের অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৫
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা হক বলেন, জমিজমার বিষয়ে আমি কোনো সমাধান দিতে পারবো না। যেহেতু এনজিইডি রাস্তাটি করছে তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী শুভাশীষ রায় বলেন, জামালপুর প্রকল্পের কাজটি এলজিইডি'র মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে। সড়কের জায়গায় কেহ ঘর তুললো না কি করলো সেটা আমাদের কাজ না। আমাদের কাছে কাজ এসেছে আমরা কাজ করেছি। কাজ করার সময় ম্যাপও দেখি না। যেখানে রাস্তা আছে সেখানে করি।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, নিজের জায়গার উপর উনারা মাঠি ভরাট করতে দিলো কেন। যাদের জায়গা তারা কিভাবে রক্ষা করবে সেটা তাদের বিষয়। আমরা রাস্তা করছি এটাই জানি এ বিষয়ে কোনো হেল্প করতে পারবো না। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সাহায্য নিতে বলেন।
অভিযোগের তদন্তের বিষয়ে ২নং কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন, জমির মালিক এ বিষয়ে জানিয়েছে তবে আমার কিছু করার নাই। যেদিক দিয়া রাস্তা আছে সেদিকেই তো করব। তারা রাস্তার উপর মাটি ভরাট করতে দিলো কেন।