বান্দরবানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক, অস্ত্র উদ্ধার: সেনাপ্রধান

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ন, ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবিঃ সংগৃহীত
সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবিঃ সংগৃহীত

বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ সময় কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

সেনাপ্রধান বলেন, শুরুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে বলে খবর পাওয়া যায়।

সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থাকার কথা। সেগুলো ভল্ট ভেঙে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এ অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।