ভোগান্তিতে হাজারও মানুষ

করিমগঞ্জে বিকল্প সড়ক না করে কালভার্ট নির্মাণ

Abid Rayhan Jaki
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ন, ০৪ মে ২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে দেহুন্দা ইউনিয়নের হেডকোয়ার্টার-পাথরিয়া (শিমুলতলা) বাজার এলাকায় কালভার্ট ভেঙে সড়কে চলছে নতুন কালভার্ট নির্মাণকাজের প্রস্তুতি। তবে জনসাধারণের পারাপারে করা হয়নি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ  সড়ক দিয়ে চলাচলরত যাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। বিশেষ করে ধান তোলার মৌসুম শুরু হওয়ায় উপজেলার স্থানীয় কয়েক হাজার কৃষক পণ্য বাজারে পাঠাতে পড়ছেন বিপাকে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৪ টাকা ব্যয়ে করিমগঞ্জের দেহুন্দা ইউনিয়নের হেডকোয়ার্টার-পাথরিয়া (শিমুলতলা) বাজার এলাকায় ১৪.৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের কালভার্ট নির্মাণকাজ পায় নদী এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। 

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী

নির্মাণ কাজ শুরু করতেও দেখা গেছে ধীরগতি। সরেজমিন দেখা যায়,পুরাতন কালভার্টটি ভেঙে নতুন নির্মানাধীন কালভার্ট নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।তবে বিকল্প কোন সাঁকো বা যোগাযোগের ব্যাবস্থা না করায় চলাচলের স্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতি নেই। মানুষের চলাচলের জন্য দুইটি বাঁশের অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।


আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

স্থানীয়রা জানান,সড়কটি দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে জনসাধারণের চলাচল ও পণ্য পরিবহন করতে হচ্ছে। কালভার্ট ভাঙ্গায় সড়কটি বন্ধ থাকায় এসব এলাকার ধান পরিবহনে খরচ বেড়েছে কৃষকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহনেও দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। স্থানীয় কৃষক সাফায়েত বলেন,'এ সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানচলাচল করতে পারছে না।তা ছাড়া সড়কটি পুরোপুরি বন্ধ থাকায় সবাই ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেক এলাকা ঘুরে পণ্য আনা-নেওয়া করতে হচ্ছে।’

স্থানীয় কৃষক আজিজুল বলেন,'সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প পথ ঘুরে আসতে হচ্ছে’ বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা না করে পুরাতন কালভার্ট ভেঙ্গে নতুন কালভার্টের নির্মাণকাজ শুরু করার বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার খোকন বলেন,‘আমি দেড় কিলোমিটার রাস্তা সহ ব্রিজের কাজটি পেয়েছি।কাজ চলা অবস্থায় রাস্তা টোটালি বন্ধ থাকার কথা।তাই ব্রিজ ভাঙ্গার পর বিকল্প সড়ক করা হয় নি।দ্রুতই ব্রিজ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।'

করিমগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বখতিয়ার বলেন,'আগের কালভার্টটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তা দ্রুত ভেঙ্গে ফেলা হয়।কালভার্টের নিচে পানি থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।তবে জনসাধারণের চলাচলে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য দ্রুতই আমরা একটি বাশের সাঁকো তৈরি করে দিবো।'