চৌদ্দগ্রাম আওয়ামী লীগ থেকে কামরুল হাসান মুরাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ
চৌদ্দগ্রামের সরকারি দল আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠে কামরুল হাসান মুরাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন মাঠের নেতাকর্মীরা।
যুবলীগের চৌদ্দগ্রামের নেতা নাজিমুদ্দিন জানান মাঠের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, কামরুল হাসান মুরাদ ৫/৬ বছর আগে চৌদ্দগ্রামের রাজনীতির মাঠে হঠাৎ আবির্ভূত হয়ে নিজেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতা, নব্য শিল্পপতি পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে সেলফি তুলে তা উপজেলা নেতাদের ও থানা এবং উপজেলার সরকারী কর্মকর্তাদের দেখিয়ে নিজের ক্ষমতার হাত অনেক লম্বা ইত্যাদি দাম্বিকতা দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে রাজউকের মোবাইল কোর্ট, বনানীতে ২৪ দোকান বন্ধ ঘোষণা
যুবলীগ নেতা সুমনরে যা জানান উপজেলা আওয়ামীলীগের পদবী পাওয়ার পর এই “সেলফী নেতার” ছবি সহ বিভিন্ন ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও মন্ত্রী এমপিদের কাছে কমিটি বাণিজ্য, চাকুরী দেওয়া, বদলী, পদোন্নতি, কাজ পাইয়ে দেওয়া, বিল উত্তোলন ইত্যাদি দালালি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। যে সারা জীবনে মেস এর চৌকিতে জীবন কাটিয়েছে সে এখন অভিজাত ধানমন্ডিতে বসবাস করেন।
মুরাদের দাম্ভিতকা ও বেয়াদপীর কারণে চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামীলীগ এর ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতাগন তাকে এড়িয়ে চলেন এবং তার সাথে কাজ করতে এমনকি কথা বলতে অস্বস্থি বোধ করেন বলে জানা যায়। “সেলফী নেতা মুরাদ” তার নিজ গ্রামের জঙ্গলপুর ঈদগাহ কমিটিতে নিজেকে সভাপতি করে কমিটি ঘোষনা করলে তা স্থানীয় জ্যেষ্ঠ মুরব্বীদের প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন। এ ছাড়াও তার ব্যক্তিগত খারাপ আচরণ ও বিরুপ চারিত্রিক বৈশিষ্টের কারনে তারাশাইল হাই স্কুল কমিটি হতে তাকে বাদ দেয়া হয়, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রত্যেকের সাথে গোপনে আঁতাত নমিনেশন পাইয়ে দেয়ার ভূয়া আশ^াস দিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী হতে মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া এবং অনেক জেষ্ঠ্য নেতার সাথে প্রায় সময় চরম বেয়াদপী করায় সমগ্র চৌদ্দগ্রামে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। । সে স্পর্শ কাতর দলীয় তথ্য সমূহ জামায়াত বিএনপিকে শেয়ার করে দলের ক্ষতিতে লিপ্ত। ফলশ্রুতিতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিগত ০৯ এপ্রিল নমিনেশন দাখিলের দিন তাকে দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও গোপনে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সরাইলে বর্ণাঢ্য র্যালি, শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত
তাদের প্রকৃত বসবাস পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলায়। তার শিক্ষা জীবন কাটে উত্তরবঙ্গে। তার এক আপন ভাই পঞ্চগড় জেলার জামায়াতের সিনিয়র নেতা, অপর ভাই বিএনপি নেতা ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্থানীয় ব্যক্তিগত সহায়ক। তাদের পরিবারে আওয়ামীলীগ করার কোন নজির নাই। ফলে হঠাৎ করে নেতা হওয়া এই মুরাদ উপজেলা পর্যায়ের নেতা বনে যাওয়ায় তৃনমুল আওয়ামীলীগ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এবং অতিসত্বর তাকে দলের পদ পদবী হতে অব্যাহতি দেওয়ার দাবী জানিয়ে আসছে।
ঐতিজ্যবাহী চৌদ্দগ্রাম বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সহচর কাজী জহিরুল কাইয়ুম এবং বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ ও জাতীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হক এর উপজেলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য এই হঠাৎ নেতা বেয়াদপ, দালালী ও মাদক কারবারে জড়িত কামরুলকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামীলীগ হতে বহিস্কার বা অব্যাহতি দিয়ে দলকে হাইব্রীড মুক্ত করার কোন বিকল্প নাই বলে সকল ত্যাগী নেতা-কর্মীগন দাবী করেন।





