মিয়ানমারের গোলাগুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ , সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তীব্র সংঘাতের শব্দে আজ সকালে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত নাফ নদের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে বিরতিহীনভাবে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। থেমে থেমে চলছে গোলাগুলি।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত, জনজীবন বিপর্যস্ত, লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা
এই ঘটনায় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মানুষদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে শাহপরীর দ্বীপের অপরদিকে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধজাহাজ আসে। তারপর শুরু হয় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি।
আরও পড়ুন: জিম্মি করে মুক্তিপন আদয়ের অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ আটক ৫
প্রথমে রাত ৯টার দিকে ওপার থেকে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ আসতে শুরু করে। টানা কয়েকঘণ্টা ধরে তা চলে। এরপর কিছুটা থেমে থেমে রাতভরই গোলাগুলি ও ভারী বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
এরপর ভোর চারটার দিকে শুরু হয় টানা বিস্ফোরণ ও গোলাগুলি। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এপারের বাসিন্দাদের।
এদিন সকালেও মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। অবস্থান ছিলো, টেকনাফের নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে। যুদ্ধজাহাজটি থেকে এদিনও মিয়ানমারের স্থলভাগে ভারী গোলা বর্ষণ করা হয়েছে।
এদিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদের ৫৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বাড়িয়েছে।
গৃহযুদ্ধে জেরবার অবস্থা মিয়ানমারের জান্তা সরকারের। বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে দেশটির সিংহভাগ এলাকা।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধ চলছে জান্তা বাহিনীর। তবে যুদ্ধে টিকতে না পেরে পালিয়ে বাংলাদেশে ভূখণ্ডে বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের কয়েকশো নিরাপত্তারক্ষী। পরে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।