চাকসুতে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাবেদ

Sanchoy Biswas
মো. সাবিত বিন নাছিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ১১:০৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:৫৫ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) দীর্ঘ ৩ যুগ পর আগামী বুধবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ ও তীব্র আগ্রহ।

বিভিন্ন সক্রিয় ছাত্র সংগঠনের প্যানেল ছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের মনোনীত প্রার্থী মো. জাবেদ (ব্যালট নং–১৩)।

আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর জাবেদ নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রত্যাশা তুলে ধরে বলেন,

“দীর্ঘ সময় পর অনুষ্ঠিত চাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। আমি একজন শিক্ষার্থী, তাই শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করাই আমার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। আমার রাজনীতিতে আসা কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়— এটা এসেছে দায়িত্ববোধ থেকে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে স্নাতক ভর্তি আবেদন শুরু ২৯ অক্টোবর থেকে

২০১৪ সালে যখন নির্বাচন হয়, আমার পরিবারের কেউ ভোট দিতে যায়নি ভয়ে। সেই সময় থেকেই আমি ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ি। এখন শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে এই ধারা অব্যাহত থাকবে, নির্বাচিত না হলেও আমি আমার কাজ করে যাব।

আমি যেহেতু পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, তাই আমার মূল ফোকাস হবে তিনটি বিষয়ে—

১. পাঠাগারের আসনসংখ্যা ও বইয়ের পরিধি বৃদ্ধি।

২. ডিজিটাল লাইব্রেরি বা অনলাইন বুক রিকোয়েস্ট সিস্টেম চালু।

৩. ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন।


এছাড়া শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে নিয়মিত জরিপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে পদ কোনো সম্মান নয়— এটা একটা দায়িত্ব। আমি প্রতিশ্রুতি দেব না, দায়িত্ববোধের নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

অনেকেই শুধু নির্বাচনের সময় আসে, তারপর আর মেলে না। কিন্তু আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাঠে থেকেছি, সমস্যা দেখলে সবার আগে ছুটেছি। তাই আমি বিশ্বাস করি— যে লড়াইয়ের সময়ে পাশে ছিল, দায়িত্বের সময়ও পাশে থাকবে।”

শিক্ষার্থীদের জন্য এর আগে আমি ক্যাম্পাসে ভর্তি সহায়তা ও পথঘাট নির্দেশনা ক্যাম্পেইন, বিভিন্ন শিক্ষার্থী ভুক্তভোগী ঘটনার প্রতিবাদ ও সমাধানে অংশগ্রহণ, লাইব্রেরিতে বসার জায়গার সংকট নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলা, ক্যাফেটেরিয়া হোটেলের খাবারের মান ও দাম নিয়ে প্রতিবাদ, আর্থিক অসুবিধায় থাকা বন্ধুদের জন্য ফান্ড রেইজ ও চিকিৎসা সহায়তা সহ নানাবিধ কাজ করেছি।

জাবেদ প্রশাসনের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন, যেন আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।