সাবেক এমপি মোস্তাফিজুর ও তার স্ত্রীর ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ন, ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | আপডেট: ১২:০৪ অপরাহ্ন, ০১ জানুয়ারী ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর নামে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে। একইসঙ্গে ২৭ ব্যাংক হিসাবে প্রায় ২২ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি পৃথক দুটি মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেখানে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে উভয় মামলায় আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র‌্যালি

দুদক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে অর্জিত ১৮ কোটি ৭৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮১ টাকা ২১টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উৎস গোপন করার চেষ্টায় সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এ ছাড়া নিজ নামে ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯৯২ টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার স্বামীর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার অপপ্রয়াসে নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন। যার অংশ হিসেবে আয়কর নথিতে প্রদর্শিত করে তার স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৩ কোটি ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৮৯ টাকা ছয়টি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন করে অর্থের উৎস গোপন করার চেষ্টায় অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা রূপান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন। বৈধ উৎস না থাকা সত্ত্বেও তার স্বামীর অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ নিজ নামে ২ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার ১০ টাকা জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন। যে কারণে শাহীন আক্তার চৌধুরীকে প্রধান আসামি ও মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে সহযোগী আসামি হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি

অনুমোদিত দুই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।