ধর্ষণের শিকার জমজ ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় ধর্ষণের শিকার ৭ বছরের জমজ দুই বোনের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ধর্ষণ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদানসহ ভুক্তভোগী পরিবারকে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (৭ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব আইনজীবী নুরুল আমিন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ উপজেলার একটি গ্রামে ৭ বছর বয়সি জমজ দুই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদ তারেক রহমানের নজরে আসলে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামালকে নির্দেশ দেন।
পরে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে তাদেরকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানসহ সব ধরনের সহায়তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সৌন্দর্যের স্বর্গরাজ্য ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কোথায় গেল?
কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হাছান পলাশ বলেন, ‘সারাদেশে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তারেক রহমানের নির্দেশে আইনজীবী ফোরামের মাধ্যমে একটা সেল গঠন করা হয়েছে। কবিরহাটের এ ঘটনায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ করতে চাই। কারণ দেশে ধর্ষণ মামলাগুলো বিচার পর্যন্ত আসে না। মাঝপথে কেউ টাকা নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করে। কেউ আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন করেন না। নানামুখী সমস্যার কারণে বিচার বিলম্বিত হয়।’
কবিরহাটের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আইনজীবী ফোরাম কাজ করবে বলে জানান কৃষক দলের এই নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বুলবুল, জেলা আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী কবির এবং রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মোনাক্কের বাহার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৫ মার্চ ওই দুই যমজ বোন বাড়ির পাশে খেলছিল। সেই সময় তাদের বাবা ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। আর মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
এ সময় একই এলাকার ১৬ বছরের এক কিশোর এক বোনকে পাশের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকার শুনে অন্য বোনটি বুঝতে পেরে মাকে গিয়ে ঘটনাটি বলে। পরে মা গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনার দুই দিন আগে ওই কিশোর অন্য বোনের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে। পরে ৩০ মার্চ এলাকাবাসী ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিশোরকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংশোধনাগারে পাঠায় আদালত।
পরদিন ভুক্তভোগী দুই শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন বলে জানায় পুলিশ।