সাভারে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রি বন্ধের দাবিতে পরিবহন চালকদের বিক্ষোভ

Sadek Ali
মো. রফিকুল ইসলাম জিলু,সাভার
প্রকাশিত: ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৮ মে ২০২৫ | আপডেট: ২:৩১ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সাভারে পৌরসভার আনন্দপুর এলাকায় অবস্থিত এনার্জি প্লাস লিমিটেড সিএনজি পাম্পে  অবৈধভাবে শিল্পকারখানার সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি করে আসছিল।সেই পরিপ্রেক্ষিতে   অবৈধভাবে গ্যাস  দেওয়া  বন্ধসহ সাধারণ যানবাহনে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে যানবাহনের শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত সোয়া ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সাভারের রেন্ট এ কার ব্যবসায়ী মাইক্রোবাস চালাক ও সিএনজিচালিত যানবাহনের চালকরা।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

এসময় যানবাহনের চালকরা বিক্ষোভ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের   আনন্দপুর  এলাকার এনার্জি প্লাস লিমিটেড সিএনজি পাম্পের সামনে সড়কের উভয় পাশ  অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে  চালকরা । এতে প্রায় সোয়া একঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার  যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষসহ  দূরপাল্লার যাত্রীরা। 

এ খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে রাত ১২টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে নিহতের মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের সিএনজি পাম্পগুলো অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় প্রাইভেট যানবাহনে গ্যাস না দিয়ে শিল্প কারখানার বড় বড় কনটেনারে গ্যাস দিয়ে যাচ্ছে। ফলে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, যাত্রীবাহী বাসসহ সকল প্রকার যানবাহন গ্যাস পাচ্ছে না। গ্যাস পেলেও গ্যাসের চাপ পাচ্ছে না। ফলে তারা যাত্রী বা রোগী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। আবার মাঝ রাস্তায় গাড়ি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

পরে খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা সড়ক ছেড়ে চলে যায়। পরে রাত সোয়া ১ ঘণ্টা পর সাড়ে ১২টায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।