কমলনগরে জারিরদোনা খাল খনন না করায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি

Sanchoy Biswas
কবির হোসেন রাকিব, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ন, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১:৫২ পূর্বাহ্ন, ২৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টানা বৃষ্টিপাতের কারণে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফের বন্যার কবলে পড়েছেন এ উপজেলার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৫/৬ দিনের ভারী বর্ষণে উপজেলার চরকাদিরা, চরমার্টিন, চর লরেন্স, চরফলকন ও তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে শতাধিক বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছে এবং চলাচলের সড়ক পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে আমনের বীজতলা ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে এবং ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। হাঁস-মুরগিসহ গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। তারা আশঙ্কা করছেন, গত বছরের মতো এবারও বন্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে

চরকাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা করিম, রাসেল ও রুবেল জানান, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। আমাদের বাড়িঘর ডুবে আছে। রাস্তাও চলাচলের অবস্থায় নেই, তলিয়ে গেছে। পানি না নামার কারণে ক্রমেই এটি তীব্র হচ্ছে। আমরা মনে হয় গত বছরের মতো এবারও বন্যার সম্মুখীন হচ্ছি।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাহাত উজ জামান বলেন, ‘অতিবৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় কিছু ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। বন্যার আশঙ্কায় আমরা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করছি।’

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে নিহতের মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও

উল্লেখ্য, গত বছর ২০২৪-এর আগস্টে ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের সঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় কমলনগরের উপকূলীয় এলাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি উদ্যোগে খাল খনন শুরু হলেও সেখানে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।