মেডিকেলের জাল ছাড়পত্র তৈরির অপরাধে মামলার বাদী কারাগারে

Sanchoy Biswas
মো. আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ন, ১০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৭ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই মেডিকেল কলেজের জাল ছাড়পত্র তৈরির অপরাধে মামলার বাদী রফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

গত ১৮/৫/২৩ ইং তারিখে বাদী রফিক মিয়া বিবাদীদের সঙ্গে কোনো ধরনের ঝগড়ার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ১৫/৬/২৩ ইং তারিখে অত্র মোকদ্দমার বাদী রফিক মিয়া শাল্লা উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করে শাল্লা আমল গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সি-আর ৭৫/২৩ মোকদ্দমাটি দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত এফ.আই.আরের নির্দেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন

এদিকে গত ২৪/০৬/২৩ ইং তারিখে শাল্লা থানায় রেকর্ডকৃত মামলা নম্বর জি-আর ০২/৪১/২৩ হিসেবে নম্বরভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ঐ মামলাটি তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে জখমীদের মেডিকেল সার্টিফিকেট জাল প্রমাণিত হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপিএম।

বিগত ১১/২/২৫ ইং ধার্য তারিখে মামলাটি আদালতে চূড়ান্ত শুনানি ও তদন্ত প্রতিবেদন-এর আলোকে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। পরে আসামিগণ অব্যাহতি প্রাপ্ত হন।

আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের

এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি না করেই বাদী রফিক মিয়ার আপন ভাতিজা মেজবাকে ভুয়া জখমী রোগী উল্লেখ করে ওসমানী মেডিকেল কলেজের নাম ভাঙিয়ে জাল ছাড়পত্র তৈরি করে অত্র আদালতে প্রতারণার আশ্রয়ে জাল রোগীর সনদ সৃজন ও ব্যবহার করে আদালতের সাথে প্রতারণা করায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডে ১৯৩/১৯৫/২১১/৪৬৬/৪৬৮/৪৭৪ ধারায় মামলা রুজু করার জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞ আমল গ্রহণকারী আদালত সদর, সুনামগঞ্জ বরাবর প্রেরণ করেন।

মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত আসামি সাংবাদিক দিলোয়ার হোসেন জানান, মামলাবাজ নামের রফিক মিয়া ভুয়া জখমী রোগীর জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে আমি সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় মামলা দায়ের করার পর শাল্লা থানার সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম সরেজমিন তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করার পর বিজ্ঞ আদালত আমাদের ১০ জনকে অব্যাহতি প্রদান করার পর প্রতারণার দায়ে বাদী রফিক মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।