হাত-পা বেঁধে চালককে হত্যা, অটোরিকশা ছিনতাই, আটক ২

হবিগঞ্জের বাহুবলে হাত-পা বেঁধে টমটম চালক আবুল কাসেম (২৫) কে হত্যার পর অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওসি জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে দ্রুত অভিযানে মাত্র আধাঘণ্টার ব্যবধানে আটক করা হয় অভিযুক্তদের।
আটককৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলার নন্দনপুর এলাকার হানিফ উল্লার ছেলে মো. আল আমিন ওরফে পিচ্ছি আল আমিন (২২) এবং একই এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে আল আমিন (২০)।
আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের
বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৭ জুলাই সকাল ১১টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে টমটম নিয়ে বের হয় কাসেম মিয়া। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৮ জুলাই সকালে উপজেলার মানবকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে একটি ঝোপ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে হাত-পা বাঁধা ছিল এবং গলায় গামছা পেঁচানো ছিল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মাধবপুরে মানববন্ধন
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহত কাসেম মিয়া উপজেলার লামাতাশি গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে। খবর পেয়ে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিযান শুরু করেন।
স্থানীয়দের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, অপরাধী না ধরা পর্যন্ত থানায় ফিরব না। তার সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবকরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য সহযোগীদের আটকের চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে ছিনতাই হওয়া টমটম উদ্ধারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।
এদিকে, ওসি জাহিদুল ইসলামের এই দ্রুত পদক্ষেপে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রশংসা করে নানা পোস্ট দিচ্ছেন। অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতা ও নিষ্ঠাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় কাসেম মিয়ার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শোকাহত পরিবার ও এলাকাবাসী হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।