আশুগঞ্জে এনসিপির নবগঠিত কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতা

AK Azad
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ১২:২০ অপরাহ্ন, ১৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৯:২৬ অপরাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে এক আওয়ামী লীগ নেতার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আশুগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি উপজেলার কমিটি ঘোষণা করা হয়, যা দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রকাশ করা হয়।

ঘোষিত এনসিপির নবগঠিত কমিটিতে আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য নবী হোসেন সাগরের নাম রয়েছে। এ ঘোষণার পরপরই স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবী হোসেন সাগর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৪ সালের ভোট, ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে এবং স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তিনি আলোচিত ছিলেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট আশুগঞ্জ গোলচত্বরে ছাত্র ও সাধারণ জনগণের ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে’ হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তাকে সরাসরি অংশ নিতে দেখা যায়।

জানতে চাইলে নবি হোসেন জানান, আওয়ামী লীগের ওই কমিটি আমি গ্রহণ করিনি। নির্বাচনের সময় এক আত্মীয় কমিটিতে আমার নাম দিয়েছিল। এটি অনুমোদন হয়েছিল কি না, জানি না। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় যোগদানের ছবি ফেসবুকে ভাসছে—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ব্যবসা করি এবং এলাকায় থাকলে না গিয়ে পারা যায় না। বোঝেনই তো কী সময়টা ছিল। আর কেউ বললে বা ডাক দিলে না গিয়ে পারা যায় না।

এ বিষয়ে এনসিপির আশুগঞ্জ উপজেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক সুফিয়ান আজাদ বলেন, আমরা বিষয়টি জেনে বিব্রত। তার অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা সম্পর্কে আগে জানা ছিলো না। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়ে দ্রুত সংশোধনের পদক্ষেপ নেবে।