বগুড়ায় দাদী শ্বাশুড়ি ও নাতি বউকে হত্যা, ঘাতক গ্রেফতার শিশু সন্তান আহত

বগুড়ায় বুধবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত অনুমানিক ৯ টার সময় দাদী শাশুড়ি লাইলি ও নাতি বউ হাবিবাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। সেই সাথে ০৪ মাসের এক নবজাতক শিশু সন্তান আহত হয়েছে। এতে হত্যার শিকার হাবিবার মেয়ে ০৪ মাস বয়সী শিশু সন্তান আফিয়া মা ও বড় দাদীর রক্তে স্নান হয়ে অবাক নয়নে তাকিয়ে ছিল। অপরদিকে শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের হরিগাড়ি পশ্চিম পাড়ার ঘাতক খুনি সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় যে, বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকায় ০৩ জন নারী লাইলী বেওয়া (৭০), হাবিবা বেগম (২২) ও বন্যা খাতুন (১৮) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। দিবাগত রাত অনুমানিক ৯ টার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত অস্ত্র নিয়ে লাইলির বাড়িতে প্রবেশ করে। তারপর ঘরে ঢুকে প্রথমে লাইলিকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তাঁর ছেলে পারভেজ আলমের স্ত্রী হাবিবাকেও গলা কেটে হত্যা করে। এসময় সেখানে থাকা লাইলির মেয়ে বন্যাকে রামদা দিয়ে কোপ দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। উক্ত ঘটনার স্থান থেকে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যক্তিরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লাইলী বেওয়া ও হাবিবা বেগমকে মৃত ঘোষণা করে। আহত বন্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। উক্ত নিহত ব্যক্তি লাইলীর স্বামী মৃত আব্দুল কুদ্দুস এবং হাবিবার স্বামী পারভেজ, আহত বন্যার পিতা বুলবুল। সকলেই বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন
এঘটনায় অত্র এলাকায় থমথমে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত হত্যা কাণ্ডের কারণ ও জড়িতদের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। কারা কী কারণে খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানায় যে, উক্ত ঘটনাস্থল থেকে দুইটি গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে কারা কি কারণে খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও শিশু সন্তানসহ আহত একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনার সূত্র ধরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।