প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিলের প্রতিবাদে নাসিরনগরে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সংবাদ সন্মেলন

২০২৫ ইং সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনের সুযোগ বাতিলের প্রতিবাদে ১২ আগষ্ট নাসিরনগরে সংবাদ সন্মেলন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন নাসিরনগর উপজেলা শাখা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১
মঙ্গলবার বেলা ১১.০০ টায় নাসিরনগর প্রেসক্লাবে বিভিন্ন পত্রিকা ও ইলেট্রনিক্ মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আহব্বায়ক মো:শফিকুল ইসলাম ইউনুছ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান
বক্তব্যে বলা হয়, ২০২২ ইং সালে অনুষ্টিত সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষা পর্যন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায় কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১৭.০৭.২৫ ইং তারিখে জারিকৃত ৩৮.০১.০০০০.১০৭.৩৩.০০১.২০২৫ পরিপত্র মাধ্যমে তাদের(কিন্ডারগার্টেন ও বেসরকারী প্রাথিমিক বিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।একই পাঠ্য বই ও একই পদ্ধতিতে প্রচলিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় একটি বড় অংশের ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ না দেয়াকে বৈষম্যমুলক সিদ্বান্ত বলে অবিহিত করেছেন সংবাদ সন্মেলনে। আগামী ২০.০৮.২৫ তারিখের মধ্যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে পর্যায়ক্রমে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, বিভাগীয় উপ পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও অথবা মার্চ ফর ঢাকা এর মত কঠোর কর্মসুচী ঘোষনা করা হতে পারে বলে হুশিয়ারী দেন নেতারা। সংবাদ সন্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রন করেন উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশেনের যুগ্ম আহব্বায়ক নান্টু দেব, যুগ্ম আহব্বায়ক রিয়াজুর রাশিদ রুবেল, সদস্য সচিব মো: আব্দুল কুদ্দুছ, সদস্য শাহ-আলম ভুইয়া, মোহান্মদ,শাহীন আক্তার খানম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নাসিরনগর উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আওতাভুক্ত কিন্ডারগার্টেন সংখ্যা ৩৪ টি, অধ্যরনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০৯০ জন। এ সকল বিদ্যালয় হতে সর্বশেষ ২০২২ সালে অনুষ্টিত বৃত্তি পীরক্ষায় অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা ৪২জন তন্মদ্বে বৃত্তি পাপ্ত হয়েছিল ২২ জন ।