আত্মগোপনে থাকা ৩ আওয়ামী লীগ নেতা ডিবি ও র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

Sanchoy Biswas
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ন, ২০ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৬:১০ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বগুড়ায় দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকা ৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা) ও র‍্যাব-১২ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন শাজাহানপুর আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হযরত আলী; অপর দুইজন হলেন গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রেজাউল ডাক্তার এবং রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

তথ্যসূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে শাজাহানপুর আশেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হযরত আলী (৫৫), গাবতলী রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রেজাউল ডাক্তার (৪৫), এবং ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হককে (৩০) ডিবি পুলিশ ও র‍্যাব-১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। সিরাজগঞ্জ জেলায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যান হযরত আলীকে র‍্যাব গ্রেফতার করে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান হযরত আলীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। চেয়ারম্যান হযরত আলী আশেকপুর ও চকজোড়া এলাকায় আবাদি জমি ও ভিটা কেটে অবৈধভাবে মাটি বিক্রির মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলেন। এতে সিন্ডিকেট তৈরি করে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করতেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের নানা কর্মকাণ্ডে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

অপরদিকে, গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রেজাউল ডাক্তার এবং রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হক—উভয়েই পাঁচকাতুলী গ্রামের মৃত শাজাহান মণ্ডলের ছেলে। তাদের ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা) কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফি নেওয়াজ খান রবিনের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত এবং অত্র এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিলেন বলে জানা যায়।