ফের খুলে দেওয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১০ অপরাহ্ন, ২০ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৪:২২ অপরাহ্ন, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বিপদসীমায় পৌঁছায়, ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো কাপ্তাই বাঁধের সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২০ আগস্ট) রাত ৮টায় বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে তোলা হয়।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা এদিন রাত ৮টায় ১০৮.৩৫ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়, যা সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের কাছাকাছি। পরিস্থিতি বিবেচনায়, ভাটি ও উজান এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণে জলকপাট খুলে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৯ হাজার কিউসেক পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

তিনি আরও জানান, জলাধারের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পানির প্রবাহ আরও বেড়ে যায়, তবে গেটগুলো আরও বেশি পরিমাণে খোলা হতে পারে।

বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রয়েছে এবং প্রতিটি ইউনিট মিলিয়ে কর্ণফুলী নদীতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়ছে। জলকপাটের মাধ্যমে ছাড়ার পানিসহ মোট ৪১ হাজার কিউসেক পানি এখন নদীতে নিঃসৃত হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ২২০ মেগাওয়াট।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ আগস্ট মধ্যরাতে একইভাবে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গেটগুলোর উচ্চতা সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। সাতদিন পানি ছাড়া শেষে ১২ আগস্ট সকালে গেটগুলো আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। ভাটি অঞ্চলে হঠাৎ বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।