বগুড়ার শেরপুরে একটু বৃষ্টি হলেই পানিবন্দী থাকে তিন গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার
শেরপুর উপজেলার শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর, ফুলতলা ও আন্দিকুমড়া গ্রামের প্রায় ৪০০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে পানিবন্দী জীবন যাপন করছে। বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই পানিতে তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। এমনকি বসতঘরও মাসের পর মাস পানিবন্দী অবস্থায় পড়ে থাকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেরপুর শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দক্ষিণে ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরুয়া বটতলা থেকে মাত্র ৫০০ গজ পশ্চিমে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়নের রহমতপুর, ফুলতলা ও আন্দিকুমড়া গ্রাম। শহরতলী হলেও জীবনধারণে তারা গ্রামের মানুষের চেয়েও অবহেলিত। বছরের অর্ধেক সময় তাদের রাস্তাঘাট পানির নিচে থাকে, ফলে পানি বাহিত রোগবালাই নিত্য সঙ্গী।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র্যালি
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (মিল-চাতাল) নির্মাণ ও উঁচু করায় চলাচলের রাস্তাগুলো নিচু হয়ে গেছে, ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ডুবে যায়। এছাড়াও পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমের পুরোটা সময় রাস্তা পানির নিচে থাকে।
এতে স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবীসহ এলাকার সকলকেই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে শাহ-বন্দেগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ইউনিয়নের রহমতপুর, ফুলতলা ও আন্দিকুমড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পানি নিস্কাশনের নতুন ড্রেন নির্মাণ করা দরকার। ইতিমধ্যেই আমরা একটি জরিপ করেছি, খুব দ্রুতই এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিক খান বলেন, খোঁজখবর নিয়ে খুব দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি আইন মেনে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলা হবে।





