গোয়ালন্দে মাজার ভাঙচুর

লাশ পড়ানো ও পুলিশের গাড়ি হামলার ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার

Sanchoy Biswas
সোহাগ মিয়া, রাজবাড়ি
প্রকাশিত: ৭:৫৯ অপরাহ্ন, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:২০ পূর্বাহ্ন, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মাহদি দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরু পাগলার দরবারে ভাঙচুরের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এই মামলার মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—গোয়ালন্দ উপজেলার দিরাজতূল্লাহ মৃধা ডাঙ্গী গ্রামের মৃত মকলেছুর রহমান মৃধার ছেলে মো. হায়াত আলী মৃধা (২৯) ও নতুন পাড়া (মাল্লাপট্টি) এলাকার মো. শওকত সরদারের ছেলে মো. জীবন সরদার (২২)।

আরও পড়ুন: কমলনগরে অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন টুমচরির নির্দেশে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

এছাড়া, এই মামলায় মো. শাফিন সরদার (১৮), উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. মাসুদ মৃধা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা, এনামুল হক জনি (৩২) ও কাজী অপু (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩,৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ দুপুরে এই মামলার দুইজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে, গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত এই মামলার মোট সাতজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কাজী অপু পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, মাজার ভাঙচুর ও মরদেহ উত্তলনের বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাকীবিল্লাহ গ্রেপ্তার

এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা বাদি হয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল পাগলার দরবারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় নুরুল পাগলার ভক্তদের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নুরুল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেয় হামলাকারীরা।