মাত্র ২১০ দিনে কোরআন হাফেজা হলেন ছালমা
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের ছোট্ট মেয়ে ছালমা আক্তার মাত্র ২১০ দিনে পবিত্র কোরআন হিফজ করে হাফেজা হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সাধারণত একজন শিক্ষার্থীর হিফজ সম্পন্ন করতে দুই থেকে আড়াই বছর সময় লাগে। কিন্তু ১২ বছর বয়সী ছালমা অসাধারণ মেধা, অদম্য মনোবল ও একাগ্রতায় মাত্র সাত মাসেই পুরো কোরআন মুখস্থ করেছে।
ছালমা স্থানীয় মারকাযুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার বাবা ছারোয়ার এবং মা আমেনা মেয়েকে হাফেজা বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। পরিবারের সেই স্বপ্ন পূরণ করল ছালমা। তার এ অর্জনকে ঘিরে পরিবার, শিক্ষক, প্রতিবেশীসহ পুরো এলাকায় আনন্দ ও গর্বের অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী বাঁচাতে ছয় দফা অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জামায়াতের র্যালি
স্থানীয়রা বলেন, এটি আল্লাহর বিশেষ রহমত এবং কোরআনের এক অলৌকিক দৃষ্টান্ত। অল্প সময়ে হিফজ সম্পন্ন করা অন্য মেয়েদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠবে।
ছালমা নিজেও সবার দোয়া কামনা করে বলেছে, “ওস্তাদ ও মা-বাবার পরিশ্রম ছাড়া আমি কিছুই করতে পারতাম না। আমার এই সাফল্য অন্য মেয়েদের জন্য প্রেরণা হোক। সবাই দোয়া করবেন, যাতে আমিও বড় আলেমা হয়ে দ্বীনের খেদমত করতে পারি।”
আরও পড়ুন: দেবীদ্বারের কৃষিতে ফিরেছে সবুজ হাসি
মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা জানুয়ারিতে ৩০ জন ছাত্রী নিয়ে হিফজ কার্যক্রম শুরু করি। এর মধ্যে ছালমা মাত্র সাত মাসেই কোরআন হিফজ শেষ করেছে। এটি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। আমরা চাই, সে ভবিষ্যতে দ্বীনের সেবায় নিয়োজিত হোক।”
তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে শুধু হিফজ নয়, বাংলা, ইংরেজি ও আরবি শিক্ষারও বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায়ও এগিয়ে যেতে পারে।





