শারদীয় দুর্গাপূজায় সীমান্ত এলাকায় ৫৯ পূজা মন্ডপে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তা

হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবির কঠোর নিরাপত্তায় হবিগঞ্জের জেলার সীমান্ত এলাকায় ৫৯ টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি, নির্বিঘ্নে চলছে প্রতিমা প্রস্তুতির কাজ।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ৫৫ বিজিবির দায়িত্বাধীন এলাকার ১৬টি বিওপি (বর্ডার আউট পোস্ট) এর ০৮ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ৫৯টি পূজামণ্ডপে এ বছর দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
পূজামণ্ডপগুলোতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সদস্যরা ইতিমধ্যে দিন-রাত টহল, রেকি এবং মোবাইল পেট্রোল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় সম্ভাব্য চোরাচালান, নাশকতা ও দুষ্কৃতিকারীদের যেকোনো তৎপরতা রোধে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে দায়িত্বপ্রাপ্ত পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন- “ সীমান্তবর্তী পূজামণ্ডপ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মতবিনিময় ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন উৎসবের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে বিষয়ে আগে থেকেই বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা
অনুসন্ধানে জানা যায়, ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও আনসারের সাথে সমন্বয় করে পূজা শুরুর আগে থেকেই পূজা মন্ডপগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করছে। এছাড়া যে কোন প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ানে একটি কন্ট্রোল সেল গঠন করা হয়েছে। আসন্ন পূজাকে সামনে রেখে করে সীমান্তবর্তী বিওপি সমূহে জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নলিনী কান্ত রায় নিরু বলেন-“বিজিবি ও প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে আমরা অত্যন্ত স্বস্তি বোধ করছি। প্রতিমা তৈরির কাজ ইতোমধ্যেই শেষ পর্যায়ে, পূজার প্রস্তুতিও শেষ ধাপে। সীমান্তবর্তী এলাকায় পূজা মণ্ডপ সমূহের নিরাপত্তা বিধানে বিজিবি সদস্যদের আগাম তৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আশা করি, সকলের সহযোগিতায় এ বছর আমরা আগের বছরের চেয়েও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারব।”
সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশে সাজানো হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সামাজিক আয়োজনের প্রস্তুতিও চলছে। বিজিবির নিরলস প্রচেষ্টায় এ বছরের শারদীয় দুর্গাপূজা সীমান্ত এলাকায় এক আনন্দময়, নিরাপদ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উৎসবে পরিণত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।