গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একদিনেই আরও ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে শিফা হাসপাতালের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আবু সালমিয়ার পরিবারের সদস্য এবং গাজা সিটি থেকে দক্ষিণে পালানোর সময় ট্রাকের ভেতরে থাকা অন্তত চারজনও রয়েছেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে

দিনের শুরুতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পরিচালক ড. আবু সালমিয়ার পারিবারিক বাড়ি বোমায় ধ্বংস হয়। এতে তার ভাই, ভাবি ও তাদের সন্তানসহ অন্তত পাঁচজন নিহত হন। শোকে ভেঙে পড়া আবু সালমিয়া বলেন, *জরুরি বিভাগে ডিউটি করার সময় হঠাৎ আমার ভাই ও তার স্ত্রীর মরদেহ সামনে আসে। এখন মনে হচ্ছে, যে কেউ আহত বা নিহত হয়ে আসতে পারে।”

ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় বিমান ও স্থল হামলা চালায়। এসব হামলায় বসতবাড়ি, স্কুলে তৈরি আশ্রয়কেন্দ্র, বাস্তুচ্যুতদের তাঁবু এবং পালিয়ে আসা লোকজন বহনকারী ট্রাককে নিশানা করা হয়। কেবল এ ধরনের হামলায়ই অন্তত ৭৬ জন নিহত হন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ নির্দেশনা

নাসর এলাকায় একটি ট্রাকে ড্রোন হামলায় অন্তত চারজন প্রাণ হারান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের মরদেহ রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল।

হামাস জানিয়েছে, এ হামলার উদ্দেশ্য চিকিৎসকদের গাজা ছাড়তে বাধ্য করা। সংগঠনটির দাবি, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ১ হাজার ৭০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে হত্যা এবং ৪০০ জনকে আটক করেছে।

আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি জানিয়েছেন, হাজারো মানুষ অবিরাম বোমাবর্ষণ ও কামানের গোলা থেকে বাঁচতে পালাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিটি বিস্ফোরণে মনে হচ্ছে ভূমিকম্প হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গাজার প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী শুধু গত দুই সপ্তাহেই অন্তত ২০টি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে।

বাস্তুচ্যুতদের অনেকেই এখন খোলা রাস্তায় বা অস্থায়ী তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছেন। পানি, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর অভাবে তারা মারাত্মক সংকটে রয়েছেন।