৫৫ বিজিবির কঠোর নজরদারি
অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকালে বিজিবির হাতে আটক ৬
সীমান্ত সুরক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর নিরলস অভিযানের অংশ হিসেবে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যায় ৫৫ বিজিবি'র কালেঙ্গা বিওপি সদস্যদের এক টহলদল সীমান্ত পিলার ১৯৫০/এম থেকে প্রায় ৩০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জাম্বুরাছড়া নামক স্থান থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন:
আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
* শান্ত সরকার (২০)
* নিরেশ সরকার (৩৫)
আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা
* জগদীশ সরকার (২৭)
* মিন্টু সরকার (২৫)
* রনি চৌধুরী (২৮)
* সুধাংশ সরকার (২২)
উল্লেখ্য যে আটককৃত সকল ব্যক্তির ঠিকানা গ্রাম: বোয়াইল, ডাকঘর: খালিয়াজুড়ি, থানা:খালিয়াজুড়ি, জেলা: নেত্রকোনা।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার জাম্বুরাছড়া গ্রামের মানব পাচারকারী দালালচক্রের তিন সদস্য জনপ্রতি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদেরকে অবৈধভাবে ভারতে পৌঁছে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। আসামীদের দেয়া তথ্য মতে, এই দালালচক্রের সদস্যরা হলেন: মোঃ তৌফিক, মোঃ মিলন এবং মোঃ হাকিম।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি), বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এই ব্যাটালিয়ন শুধু সীমান্ত রক্ষার কাজেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং চোরাকারবারি, মানব পাচার, মাদকদ্রব্য পাচার এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনেও তাদের আভিধানিক সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিজিবি'র নিয়মিত টহল, ড্রোন ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোয়েন্দা নজরদারির কারণে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপার এবং চোরাচালান অনেকাংশে কমে এসেছে। আজকের এই সফল অভিযান তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন, "সীমান্ত সুরক্ষায় আমরা কোনো ছাড় দেব না। মানব পাচারকারীরা মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যে ঘৃণ্য কাজ করছে, তা রুখতে বিজিবি বদ্ধপরিকর। যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, চোরাকারবারী ও মানব পাচারকারীদের জন্য এই সীমান্তে কোনো স্থান নেই।"
আটককৃত নাগরিকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করে সোপর্দ করা হচ্ছে। একই সাথে, মানব পাচারকারী দালালচক্রের বিরুদ্ধেও পলাতক আসামি হিসেবে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আরো বলেন, আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। এই ধরনের অপরাধ দমনে জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা ও তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।
