আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ভূঁইয়া বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

আশিয়ান সিটির মালিক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তাঁর সহযোগীরা সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে তাঁদের পৈত্রিক জমি ও বসতবাড়ি দখল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার একাধিক ভূমি মালিকরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এই অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নজরুল ভূঁইয়া গং তাঁদের মালিকানাধীন জমির সীমানা পিলার ও দেয়াল ভেঙে দেন, বাড়িঘর ভাঙচুর করেন এবং ঘরে থাকা মালপত্র লুট করে নিয়ে যান। ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, আশিয়ান সিটির লোকজন আনসার সদস্য ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী ব্যবহার করে এলাকায় দখল, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুর চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণখান, উত্তরখান, খিলক্ষেত ও বড়ুড়া এলাকার বহু পরিবার জমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান
রাজউক সূত্রে জানা যায়, সংস্থাটি গত ৪ আগস্ট এক চিঠিতে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডকে জানায়—সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অনুমোদিত ৩৩ একরের বাইরে কোনো উন্নয়ন, বিক্রয় বা প্রচারণা কার্যক্রম চালানো যাবে না। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, নজরুল ভূঁইয়া গং সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে অননুমোদিত এলাকায় জমি বিক্রি ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগীদের মতে, এসব কর্মকাণ্ড রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এবং ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা, ২০০৪ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫)-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নজরুল ভূঁইয়া অতীতে আওয়ামী লীগের প্রভাব ব্যবহার করে এসব দখলবাজি চালালেও বর্তমানে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে একইভাবে অবৈধ কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীন দেশে সাধারণ মানুষের জমি-জমা দখল করে এভাবে ব্যবসা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ দাবি করে বলেন, রিহ্যাব ফেয়ারে আশিয়ান সিটির মাধ্যমে অন্যের জমি বিক্রির তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. আলাউদ্দিন নামের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ১৯৯৭ সালে আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখল করার জন্য আশিয়ান সিটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে ও আমাদের বাস্তুচ্যুত করার হুমকি দেয়। বুলোডাজার দিয়ে আমার বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দেয়। রাস্তার মাটি ভেকু দিয়ে তুলে রাখে। তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ একটা জিডি নেয়নি দক্ষিণখান থানা পুলিশ।
আরেক জমির মালিক এস এম সানাউল্লাহ বলেন, আশিয়ান সিটির পাশে আমার ১২ কাঠা জমি আছে। সেখানে ৫ বার বাউন্ডারি দিলেও তা আশিয়ান সিটি তা ভেঙে দেয়, ৬টি পিলার ভেঙে মাটি ফেলে দেয়।