ফল প্রকাশে বিলম্ব আশঙ্কায় বাতিল লিখিত পরীক্ষা, এমসিকিউতেই হবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

Any Akter
শাহরিয়ার ইসলাম, ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:২৫ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এবারের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত অংশ যুক্ত করার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। ফল প্রকাশে বিলম্ব এবং মূল্যায়ন জটিলতার আশঙ্কায় আগের মতোই শুধুমাত্র বহুনির্বাচনি (MCQ) পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রশ্নপত্রে নতুনভাবে “মানবিক গুণাবলী” ও “সাধারণ জ্ঞান” বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)-এর একাধিক বৈঠকে লিখিত অংশ যুক্ত করার প্রস্তাব আলোচিত হয়েছিল। অন্তত ১৫টি সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা হয়। তবে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব ও মূল্যায়নের জটিলতা বিবেচনায় শেষে সেই প্রস্তাব স্থগিত করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের’ স্বীকৃতি প্রদান, আজীবন ভাতার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন বলেন,

“লিখিত পরীক্ষা নিলে খাতা মূল্যায়নে সময় লাগে। অথচ আমাদের শিক্ষার্থীরা দ্রুত ফলাফল পেতে অভ্যস্ত। ওএমআর পদ্ধতিতে এমসিকিউ মূল্যায়ন করা যায়, ফলে দুই দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ সম্ভব। এসব বিবেচনায় আমরা লিখিত অংশ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আরও পড়ুন: ঢাবি ও ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: নীলক্ষেতে রাতভর উত্তেজনা

তিনি আরও জানান, এ বছর পরীক্ষার কাঠামোয় কিছু ক্ষুদ্র পরিবর্তন আসছে। বর্তমানে সাধারণ জ্ঞান অংশে ১০ নম্বর থাকলেও তা বাড়িয়ে ১৫–২০ নম্বর করার প্রস্তাব আছে। এই অংশে মানবিক গুণাবলী যাচাইয়ের প্রশ্ন যুক্ত করা হতে পারে।

 “আমরা চাই ভবিষ্যতের চিকিৎসক শুধু মেধাবী না, মানবিকও হোক। সে কারণেই সাধারণ জ্ঞান অংশে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিকতা যাচাইয়ের উপাদান যুক্ত করার চিন্তা করছি,” বলেন ডা. নাজমুল হোসেন।

তিনি আরও জানান, শুধু মুখস্থবিদ্যা নয়—বিশ্লেষণী দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা ও মানবিকতা মূল্যায়নের দিকে ধীরে ধীরে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

 “এ বছর বড় পরিবর্তন নয়, তবে আগামী দুই-তিন বছরে এমন প্রশ্ন কাঠামো তৈরি করতে চাই, যেখানে একজন পরীক্ষার্থীর মানবিকতা ও যুক্তিবোধ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে,” বলেন মহাপরিচালক।

জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার কাঠামো নিয়ে অক্টোবরের দ্বিতীয়ার্ধে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপরই প্রকাশ করা হবে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা।