নেত্রকোনায় শিবনগর কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে অভিভাবকদের ক্ষোভ

Sanchoy Biswas
হৃদয় রায় সজীব, নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ন, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১:২০ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার শিবনগর কান্দাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি গোপনে ও বিধিবহির্ভূতভাবে গঠন করা হয়েছে—এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা।

বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মো. রাসেল মিয়া নামে এক অভিভাবক বোর্ডের ই-ফাইল (নং ২৩৩২৫১১৩০১৪১)-এর মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বোর্ডের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ছালেহ আহমদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)-কে ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, তদন্তে অভিযোগকৃত কমিটি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। বোর্ড সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ প্রমাণিত হলে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বাতিলসহ প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ও সভাপতি যোগসাজশে গোপনে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে অবৈধভাবে কমিটি গঠন করেছেন। বিধি অনুযায়ী খসড়া ভোটার তালিকা শ্রেণিকক্ষে পড়ে শোনানো হয়নি, নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়নি এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের অবহিত করা হয়নি। ফলে অধিকাংশ অভিভাবক কমিটি গঠন সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মনোনয়নপত্র গোপনে নিজস্ব লোকদের মধ্যে বিক্রি করা হয় এবং কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

একাধিক অভিভাবক জানান, “আমরা জানিই না কবে, কীভাবে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের না জানিয়ে কমিটি করা হয়েছে—আমরা এ কমিটি বাতিল চাই।”

মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি নিয়ম অনুযায়ী কমিটি করেছি। অভিযোগ এসেছে, বোর্ড খোঁজ নিচ্ছে। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় যা হওয়ার, তাই হবে।”

স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দ্রুত স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তারা।