ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা
তিন যুগ পর চাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
তিন যুগ পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আধুনিক ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।
আরও পড়ুন: মানুষের সহযোগিতায় বাঁচতে চান ক্যান্সার আক্রান্ত তরকারি ব্যবসায়ী সোহেল
সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে পছন্দের প্রার্থীর নামের পাশে বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসজুড়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রক্টরিয়াল টিম ও বিএনসিসি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় মানবিক ও দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গড়তে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পৌর প্রশাসক আরিফুল ইসলাম সরদার
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। প্রতিটি ভোটকক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ জন ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে লড়ছেন ৪৯৩ জন প্রার্থী।
মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।
ছাত্রশিবির সমর্থিত ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়** সকাল ১০টার দিকে আইটি অনুষদ ভবনে ভোট প্রদান করেন।
প্রতিটি হলে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে শিক্ষক, কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিএনসিসি ও প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালন করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, সেজন্য তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ৩৬ বছর পর চাকসু নির্বাচন হওয়ায় তাদের মধ্যে বিশেষ উত্তেজনা কাজ করছে। তারা চান, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন হোক।
এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা চাই এমন নেতৃত্ব, যারা ছাত্রদের সমস্যা তুলে ধরবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করবে।





