লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

Sanchoy Biswas
জাহাঙ্গীর লিটন ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ন, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪০ অপরাহ্ন, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জামায়াত। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে জেলা জামায়াতের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা জামায়াতের আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, “আমরা নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী থেকে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের দীর্ঘদিনের দাবি পুনরায় বর্তমান সরকারের কাছে জোরালোভাবে উত্থাপন করছি। লক্ষ্মীপুর জেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর যাতায়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সুবিধার উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।”

আরও পড়ুন: পটুয়াখালী মহাশ্মশানে উদযাপিত হচ্ছে দীপাবলি অনুষ্ঠান

তিনি আরও জানান, ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট, লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে রেললাইন স্থাপনের জন্য একটি চাহিদাপত্র রেল মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়। তৎকালীন রেলমন্ত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম (পূর্বাঞ্চলীয়) চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ অঞ্চলের মানুষ আজও রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।

জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, রেল সংযোগ চালু হলে আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গতি আসবে, কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হবে, শিল্প, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে, কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে এবং চট্টগ্রাম, ঢাকা ও চাঁদপুরসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আরও দ্রুত ও সহজতর হবে।

আরও পড়ুন: গাজীপুরে সার ডিলারদের নীতিমালা বহাল ও কমিশন বাড়ানোর স্মারকলিপি

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বলেন, “লক্ষ্মীপুরে রেললাইন স্থাপন এই অঞ্চলের ২৫ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। এটি সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি জেলার কৃষিপণ্য পরিবহনে বিপ্লব ঘটাবে। আমরা জেলার ২৫ লাখ জনগণের প্রাণের দাবি রেললাইন স্থাপন নিয়ে কাজ করবো।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা নাছির উদ্দীন মাহমুদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটোয়ারী, শহর জামায়াতের আমীর এডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান প্রমুখ।