ফরিদপুর-১ আসনে খন্দকার নাসিরের সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অবসান দাবি বিএনপি নেত্রী মুন্নির

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:০২ অপরাহ্ন, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০০ অপরাহ্ন, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুর জেলা মহিলা দলের ১ নম্বর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বোয়ালমারী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মিনাজুর রহমান লিপনের স্ত্রী মুন্নি রহমান এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম নাসির ফরিদপুর-১ আসনে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলাবাজির রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন।

তিনি এই পরিস্থিতির অবসান ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কৃষক দল নেতা খন্দকার নাসিরের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারেক রহমানের কাছে মহিলা দলনেত্রীর আবেদন

বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে মুন্নি রহমান দাবি করেন, গত ৭ নভেম্বর খন্দকার নাসিরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার স্বামী যুবদল নেতা লিপন মিয়ারের ওপর নির্মম হামলা চালায়, যাতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর ও পুড়িয়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি লেখেন, “সন্ত্রাসী নাসির বাহিনীর কারণে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির ভাবমূর্তি প্রতিদিন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা আজ বঞ্চিত, আর আওয়ামী লীগের পদধারীরা টাকার বিনিময়ে বিএনপির কমিটিতে জায়গা পাচ্ছেন।”

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

মুন্নি রহমান আরও দাবি করেন, খন্দকার নাসির সরকারি সম্পদ লুট ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর চাঁদা আদায়ের সঙ্গে জড়িত। তার নেতৃত্বে গঠিত উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটিগুলো আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দিয়ে সাজানো হয়েছে, যা দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, “প্রিয় নেতা, আপনি দ্রুত তদন্ত করুন এবং নাসিরের প্রভাবে গঠিত কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করুন। ফরিদপুর-১ আসনকে এই গডফাদার ও সন্ত্রাসী চক্রের হাত থেকে মুক্ত করুন।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল হাসানের ভাই হাসিবুল হাসানকে টাকার বিনিময়ে আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে, যা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ করেন।

শেষে মুন্নি রহমান বলেন, “আমি বিএনপির দুর্দিনের রাজপথের একজন কর্মী হিসেবে এবং একজন ত্যাগী নেতার স্ত্রী হিসেবে অনুরোধ করছি— ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপিকে রক্ষা করুন। এটি শুধু আমার নয়, শত শত ত্যাগী নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি।”

গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপির দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।