বিমান বাহিনী প্রধানের মাইলস্টোনে দুর্ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা

গত সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী সহানুভূতিশীল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি সস্ত্রীক ঢাকার তুরাগে যান। সেখানে তিনি নিহত শিক্ষার্থীদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও সমবেদনা জানান।
তিনি শুধুমাত্র বাহিনী প্রধান হিসেবে নয়, একজন পিতা ও অভিভাবক হিসেবে শোকে বিহ্বল পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেন এবং জানান যে, "এই শোক কোনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।" তিনি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতেও যেকোনো প্রয়োজনে এই পরিবারগুলো সর্বোচ্চ সহায়তা পাবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা পদক পেল বাংলাদেশ পুলিশের নারী কন্টিনজেন্ট
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর পত্নী ও বাফওয়া সভানেত্রী সালেহা খান, যিনি নিহত শিক্ষার্থীদের মায়েদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তুরাগে নিহত কোমলমতি শিশুদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অন্যদিকে আজই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোহাগপুর গ্রামে মাইলস্টোনের শিক্ষিকা মরহুম মাসুকা বেগমের কবর জিয়ারত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং রাজশাহীর সপুরায় বিমান দুর্ঘটনায় শাহাদাতবরণকারী ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মোঃ তৌকির ইসলামের কবর জিয়ারত করে তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থার নাম ভাঙিয়ে মাহদীর প্রতারণা বাণিজ্য
শুক্রবার (২৫ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর উত্তরার তাফালিয়া ক্রিকেট একাডেমি মাঠে নিহত শিক্ষার্থী তাসনিম আফরোজ আয়মান (১০)-এর জানাজায় বিমান বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয় এবং তাঁর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
একই দিনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে দেশের সকল ঘাঁটিতে অফিসার্স মেসে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকারে আয়োজিত বিশেষ দোয়া মাহফিলে সেনাবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (পরিচালন), সাবেক বিমান বাহিনী প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, নিহত বৈমানিকের পরিবার এবং মাইলস্টোন স্কুলের শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষে, দেশের সকল বিমান বাহিনী ঘাঁটি ও ইউনিটের মসজিদে জুমার নামাজের পর একযোগে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের রূহের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়।