জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন
একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড গঠন করেছে। অভিযোগটি একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার প্রাক্তন স্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত হয়েছে, যিনি পূর্বে একটি গুরুতর অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বরখাস্ত হন এবং বর্তমানে কারাদণ্ড ভোগ করছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগটি প্রকাশের আগেই তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছিল এবং গুরুত্বের সাথে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগকারী নারীর সামাজিক মর্যাদা এবং ঘটনাটির সংবেদনশীলতা বিবেচনা করে সেনা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। এরই মধ্যে অভিযুক্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটনে একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত বোর্ড কাজ করছে। বর্তমানে ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা, কার্যক্রম নিষিদ্ধ
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, কোনো সদস্য চাকরি থেকে বরখাস্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা, সরকারি বাসস্থান বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা নয়। তবে মানবিক কারণে, ওই প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সন্তানের এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে পরিবারটিকে সাময়িকভাবে সরকারি বাসস্থানে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার নৈতিক মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের নীতিভ্রষ্ট ও নীতি-বিবর্জিত কোনো কার্যক্রমকে সেনাবাহিনী কখনোই প্রশ্রয় দেয় না। সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ যথাযথ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হয় এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির সকল থানায় এখন থেকে অনলাইনে জিডি
