বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত

আবারও বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। সর্বশেষ জারি করা নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশের চারটি পাটজাত পণ্য এখন থেকে ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। তবে এসব পণ্য কেবলমাত্র ভারতের মুম্বাইয়ের নভি মুম্বাই বন্দরের (নভসেবা পোর্ট) মাধ্যমে আমদানির সুযোগ রাখা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত জানায়। এতে বলা হয়, নতুন নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাম অয়েলের দাম লিটারে কমলো ১৯ টাকা
নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া চারটি পণ্যের মধ্যে রয়েছে,
•পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের কাপড়,
আরও পড়ুন: অর্থবছরের শুরুতেই সুবাতাস রেমিট্যান্সে, এলো ৩০ হাজার কোটি টাকা
•পাটের দড়ি বা রশি,
•পাটজাতীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি দড়ি বা রশি, এবং
•পাটের বস্তা বা ব্যাগ।
ভারতে রপ্তানীকৃত এসব পণ্যের মাত্র ১ শতাংশ সমুদ্রপথে পরিবহণ হয়, বাকি সব স্থলপথে যায়। ফলে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে কার্যত বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানির মূল পথ বন্ধ হয়ে গেল।
এর আগে গত ২৭ জুন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আরও একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের পাটজাত কাপড় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করে। নতুন চারটি পণ্য যোগ হওয়ায় এখন মোট আট ধরনের পাটপণ্য ভারতীয় স্থলবন্দরে নিষিদ্ধ হলো।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চলতি বছরের মধ্যে ভারত একাধিকবার বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যে অশুল্ক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। এর মধ্যে ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক ও কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপপণ্য, ফল ও ফলজাত পানীয় এবং কোমল পানীয় আমদানিতে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।
এরও আগে ৯ এপ্রিল ভারত তাদের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনের সুযোগ বাতিল করেছিল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রপ্তানি কার্যক্রমে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কেও উত্তেজনা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।