ভবনটিতে রেস্তোরাঁর অনুমোদন ছিল না : রাজউক

রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, সেই ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমতি ছিল না। শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম জানান, বেইল রোডের গ্রিন কজি কটেজ নামের ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ারি আইজিপির
রেস্তোরাঁ, শোরুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে শুধু আটতলায় আবাসিক স্থাপনার অনুমোদন ছিল বলেও জানিয়েছেন রাজউকের এই কর্মকর্তা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ভবনের নিচতলায় ‘স্যামসাং’ ও ‘গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার’ নামের দুটি ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম বিক্রির দোকান, ‘শেখলিক’ নামের একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও ‘চুমুক’ নামের একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল।
আরও পড়ুন: রমজানে প্রতিদিন ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশন
দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, তৃতীয় তলায় ‘ইলিয়ন’ নামের একটি পোশাকের দোকান, চতুর্থ তলায় ‘খানাস’ ও ‘ফুকো’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ, পঞ্চম তলায় ‘পিৎজা ইন’ নামের একটি রেস্তোরাঁ, ষষ্ঠ তলায় ‘জেসটি’ ও ‘স্ট্রিট ওভেন’ নামের দুটি রেস্তোরাঁ এবং ছাদের একাংশে ‘অ্যামব্রোসিয়া’ নামের একটি রেস্তোরাঁ ছিল।
অবশ্য ভবনের ছবিতে সপ্তম তলায় ‘হাক্কাঢাকা’ নামের একটি রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ড দেখা যায়, যা ফায়ার সার্ভিসের হিসাবে আসেনি।
রাজউক যেমন বলছে, ভবনটিতে রেস্তোরাঁ বা পোশাকের দোকানের অনুমোদন ছিল না, তেমনি ফায়ার সার্ভিসও বলছে, ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টায় বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ নামের আটতলা ভবনটিতে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন নিহত হয়েছে। ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তারাও শঙ্কামুক্ত নন। তবে অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ভবন থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।