নির্বাচন ঘোষণার পরও সংশয়

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন গত ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার)। ৬ আগস্ট এ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করে ফেলবে। নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ৭ আগস্ট তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসীদের ভোটার এডুকেশনের কাজ করা হবে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এদিকে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন গতকাল শনিবার রংপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থায় জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ এই ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়েছে। তাদের আবার ভোটকেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা বড় কাজ হবে। এছাড়া, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাচনের জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেয়া হবে। এনিয়ে কোনো সমস্যা নেই। চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্বাচন কমিশনের জন্য ২ হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নির্বাচন অয়োজনে সরকারের ঘোষণা ও গৃহীত পদক্ষেপে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোনো কোনো রাজনৈতিক দল একে স্বাগত জানালেও কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন আয়োজনে নানান শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করছেন।

জাতির উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের দেওয়া ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ঐতিহাসিক বলে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একটি কার্যকর জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে। এই নির্বাচন অতি জরুরি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, এখন এই নির্বাচনটা দেশের জনগণ চায়। জনগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে। জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও তারা চায় নির্বাচন হতে হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পরদিন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে আইনের ভিত্তি দিতে হবে এবং সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, পিআর পদ্ধতি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাইলফলক। ৫৪ বছরের আগের ট্র্যাডিশনাল নির্বাচন দেশের জন্য উপযোগী নয়। রাতে ভোটকেন্দ্র দখল এগুলো আগের ঐতিহ্য। আর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ ফজলুল করিম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে এখনও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এখনও ভোটের জন্য লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। আমাদের নির্বাচনে যাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন যথাযথ ফাংশন করছে না এবং বর্তমান সরকার প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সেখানে এই অবস্থায় নির্বাচন করতে গেলে প্রার্থীদের নিরাপত্তার ঝুঁকি থেকে যায়। এই ঝুঁকিতে কেন নির্বাচনে যাব। প্রশ্ন তিনি আরও বলেন, পিআর আমাদের দাবি। এর মাধ্যমে কালোটাকার দৌরাত্ম্য কমবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হবে, কিন্তু বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় যেতে চায় বলে পিআর নিয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত কথাবার্তা বলে। নতুন রাজনৈতিক শক্তি এনসিপি তাদের প্রতিক্রিয়ায় নির্বাচনের আগে সংস্কার, বিচার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা চেয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও বিচার দৃশ্যমান করতে হবে, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্র কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের জন্য সংস্কার নিয়ে এই সরকার যাত্রা শুরু হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে সংস্কারকে দৃশ্যমান করা ও সংস্কার বাস্তবায়ন করা এই সরকারের অবশ্য কর্তব্য। আর এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, শুধুমাত্র একটি নির্বাচনের জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়নি। তাই মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ, গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার- এগুলো আমরা নির্বাচনের আগে চাই। তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূল আচরণ করছে আমাদের প্রতি। আমাদের নিবন্ধন, প্রতীক তারা ঝুলিয়ে রেখেছে। কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে আমরা এখনও অবিচল আছি। সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। এখন নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করা। নির্বচনের জন্য আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে কাজ শুরু করা। আর আমরা চাই  নির্বাচনের ৩ মাস আগে এই অন্তর্বর্তী সরকার পদত্যাগ করুক। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। নির্বাচন হতে হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক, অর্থাৎ, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের প্রশ্ন যদি আসে তখন আমরা সে ব্যাপারে আমাদের মতামত দেব। তবে নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ বা তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিপক্ষে আমরা।

আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সাত্তারের দুর্নীতির অভিযোগ দায়িত্বজ্ঞানহীন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

সংশয় যেখানে: বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো শর্ত আরোপ না করলেও অন্য তিনটি প্রধান দল শর্ত উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীরের কথায় নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে তাদের সংশয়ের কথাও প্রকাশ পেয়েছে। আর এনসিপি আগেই এই নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করেছে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাহলে নির্বাচনের আগে ৩ মাসের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে কি না- এমন প্রশ্নও করছেন কেউ কেউ। আর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম যেহেতু নিষিদ্ধ, তাই তাদের ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কতটা হবে? আরও যেসব প্রশ্ন এখনো সামনে আছে তা হলোÑ ১. মৌলিক সংস্কার ২. বিচার ৩. জুলাই সনদ ৪. নির্বাচন পদ্ধতি ৫. লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ৬. আইনশৃঙ্খলা ৮. নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার, না কি অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়ার একটি চাপ আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে আসবে। তারা বলবে, ইস্যুটিকে অ্যাড্রেস করবে। তবে সরকারকে বাধ্য করতে পারবে বলে মনে হয় না। সরকার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। ফলে সরকার একটি অবস্থান নিয়ে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি তো নির্বাচনের কথাই বলে আসছিল। তবে অন্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের আগে কিছু ইস্যু তুলছে। এর মধ্যে সংস্কার, বিচার, জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন। আমার মনে হয়, তারা সরকারকে একটা চাপের মুখে রাখতে চায়। যার যার অবস্থান থেকে সুবিধা নিতে চায়। আর বিএনপি যেহেতু সবচেয়ে বড় দল তাই বিএনপিকেও চাপে রাখতে চায়, মেসেজ দিতে চায়। বড় দল হিসাবে যাতে বিএনপি কোনো বাড়তি সুবিধা না পায় সেটা তারা নিশ্চিত করতে চায়। এখানে জোটবদ্ধ হওয়ার একটা বিষয় আছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো দল বা জাময়াত ও এনসিপি বা আরও কোনো দল মিলে নির্বাচন বর্জন করলে সেটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমার মনে হয়, তারা শেষ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দর কষাকষি করবে কিন্তু নির্বাচন বর্জন করবে না। তাহলে তো ২০১৪ সালের মতো একটি পরিস্থিতি হবে। সেটা হলে ফ্যাসিবাদ তাড়িয়ে আবার ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার মতো হবে।

এদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন  সংস্কারের ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করলেও এখন পর্যন্ত ঐকমত্য হয়েছে ১৯টি বিষয়ে। তবে নোট অব ডিসেন্টও আছে ৯টি বিষয়ে। সেই বিবেচনায় ১৬টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে। জুলাই সনদ এখনও হয়নি। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয়  ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর একমত হতে হবে। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার লাগবে। আইনের সংস্কার লাগবে। তবে সবই সম্ভব। কোনো আশঙ্কা দেখছি না। তিনি আরও বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব দেখছি না। তবে নির্বাচন কশিশনকে তার কাজের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে হবে। আর সেসব সংস্কার প্রয়োজন, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হতে হবে। সেটা হলে কোনো সমস্যা দেখছি না। আর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের অধীনেই হবে। সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত আপত্তি করবে না। কিন্তু উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আপত্তি থাকবে। বিশেষ করে দুই ছাত্র উপদেষ্টাকে নির্বাচনের সময় হয়তো উপদেষ্টা পরিষদে রাখা যাবে না। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা হবে সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে। সেটা তো সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, এখন বিএনপি ছাড়া কয়েকটি দল যেসব ইস্যু সামনে আনছে, আসলে এগুলো তারা চাপ সৃষ্টির জন্যই করছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দিতে ভারত ছাড়া বড় কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আসবে বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অণ্যদিকে, সাবেক নির্বাচন কমিশনার জেসমিন টুলী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন অনেক কাজই এগিয়ে নিয়েছে। ভোটার তালিকা করেছে, সীমানা নির্ধারণের কাজ করেছে। এখন তাদের আরপিও ও আইনি সংস্কারের কাজগুলো দ্রুত করতে হবে। আর এগুলো করতে তাদের হাতে সময় যথেষ্ট আছে বলে আমি মনে করি। কিছু কাজ আছে যেগুলো ধাপে ধাপে করতে হয়। যেমন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার, নির্বাচনি সরঞ্জাম- এগুলো কোনো সমস্যা নয়। তাদের এখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির কাজে হাত দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে শুধু একটা সংলাপ নয়, নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের আস্থায় রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, ১৬-১৭ বছর পর দেশের মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন। তারা এতদিন ভোট দিতে পারেননি। তাই ভোটারদের সচেতন করার কাজ এখনই শুরু করতে হবে। আর এআই-নির্ভর যে প্রচারণা, সেটার ব্যাপারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্বাচনের ৬০-৭০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তার আগে এবং পরে দুই পর্যায়েই নির্বাচন কমিশনের কাজ আছে। সেই কাজগুলোর প্রতিটি পদক্ষেপে কমিশনে তার দক্ষতা এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আর সরকারের দায়িত্ব হলো কমিশনকে সার্বিক সহায়তা করা। প্রতিবেদন তৈরিতে ডয়চেভেলে সাহায্য নেওয়া হয়েছে।