শিক্ষকের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলা শিক্ষিকার পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর ভাটারা থানার হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীটনাশক পান করে মৃত্যুবরণ করেছেন এক শিক্ষিকা (২৭), যিনি এক সহকর্মী পুরুষ শিক্ষকের গোপনাঙ্গ কাটার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষিকা কীটনাশক খাওয়ার পর প্রথমে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, থানায় হেফাজতে থাকার সময় তিনি নিজ লোকদের দিয়ে ওষুধ আনার কথা বলেন, তখনই কীটনাশক পান করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলীসহ সকল ধর্ষকের বিচারের দাবিতে নবাবগঞ্জে বিক্ষোভ

অপরদিকে, আহত পুরুষ শিক্ষক বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় একটি বাসায় থাকেন এবং তার স্ত্রী জার্মান প্রবাসী হলেও বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার রাতে, যখন ওই নারী শিক্ষক তার সহকর্মীর বাসায় যান এবং রাতে একসঙ্গে অবস্থান করেন। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সহকর্মীর গোপনাঙ্গে আঘাত করেন তিনি। শুক্রবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিক্ষককে বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষিকা।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল আটক

তবে আহত শিক্ষকের স্বজনদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে। তিনি এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে নিজের নিরাপত্তা দাবি করেন। পরে পুলিশ তাকে ভাটারা থানায় নিয়ে যায়।

পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী জানান, আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং তিনি তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান।

এদিকে, অভিযুক্ত নারী ও তার পরিবারের দাবি, ওই দুই শিক্ষক স্বামী-স্ত্রী। তিন-চার মাস আগে তাদের বিয়ে হয়, কিন্তু পরবর্তীতে ওই পুরুষ শিক্ষক আরেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি এই ঘটনা ঘটান বলে দাবি তাদের। তবে তারা সত্যিই বিবাহিত ছিলেন কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।