নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

নর্দান ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ট্রাস্টের (আইবিএটি) চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সরকার উৎপাতে ষড়যন্ত্রে দুই মার্কিন নাগরিক ৫ দিনের রিমান্ডে
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, আবু ইউসুফ আবদুল্লাহর স্ত্রী হালিমা সুলতানা, সন্তান সাদ আল জাবির আবদুল্লাহ ও লাবিবা আবদুল্লাহ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক এম শামছুল হক, মোসাম্মাৎ হাবিবুন নাহার ও নাজমুস সাদাত।
দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয় ৭ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রাস্টের তহবিল থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ তুলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান প্রাসাদ নির্মাণ লিমিটেড ও সুন্দরবন সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল লিমিটেডে স্থানান্তর করেন।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় একই পরিবারের ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে, অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আইবিএটি ট্রাস্টের তহবিল থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে একাধিক চেকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। একইভাবে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের হিসাব থেকেও বিপুল অর্থ আইবিএটি ট্রাস্টে স্থানান্তর করা হয় এবং পরে আসামিদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানে সরানো হয়।
দুদক জানায়, ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে একাধিক চেকের মাধ্যমে মোট ১৯ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিং করা হয়।