হোটেলে ঢুকে স্বামী-স্ত্রীর ভিডিও ধারণ, অভিযুক্তকে ১৪ দিনের কারাদণ্ড

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৭ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৯:১৭ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একটি আবাসিক হোটেলে জোরপূর্বক প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রীর ভিডিও ধারণের ঘটনায় মো. হালিম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযানের পর গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পাশে ‘কে আর’ নামে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড হোটেল পরিচালনা করেন হালিম। হোটেল মালিক অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে তার হোটেলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডিবির অভিযানে ওবায়দুল কাদেরের ভাইসহ ৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

ওই ঘটনায় বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ৪টার দিকে হালিম কৌশলে এক আবাসিক হোটেলে ঢুকে দুটি দম্পতির রুমে প্রবেশ করেন। পর্যটকদের পুলিশ ভীতি দেখিয়ে নানা প্রশ্ন করেন এবং সেই ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। এছাড়া, তারা বিবাহিত কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়।

হোটেল মালিক মো. শাকিল তালুকদার বলেন, “রাতে দুটি রুম ভাড়া দিয়ে আমি বিশ্রামে ছিলাম। হালিম হোটেল স্টাফদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে পর্যটকদের নানা প্রশ্ন করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। আমি গেলে তিনি আমাকে হুমকি দেন ও গালাগালি করে বেরিয়ে যান। তিনি সম্ভবত মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিলেন।”

আরও পড়ুন: কলাবাগানে স্ত্রীকে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখার রহস্য জানা গেল

মালিক আরও জানান, পূর্বেও হালিমের হোটেলে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে একজন স্টাফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। হালিম হয়তো সেই কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে এই কাজ করেছেন।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস সচিব জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, “পর্যটকদের সঙ্গে কোনো অশালীন আচরণ বা হয়রানি সহ্য করা হবে না। কেউ এমন কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, “হোটেলের রুমে জোরপূর্বক প্রবেশ এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগে অভিযুক্ত হালিমের মোবাইল চেক করলে ভিডিও পাওয়া যায়। তাকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা আমাদের অগ্রাধিকার।”